মাস গেলে হাতে আর
বলুন তো কত টাকা পাই !
যাই পাই তাই খাই –
আজকাল সে রকম উপরি তো নাই !


একেকদিন কী যে হয় –
বড় হিংসে হয় –
আমাদের সংসার কীভাবে যে চলে !
হিংসে হয় -
আম্বানী আদানীর টাকা আছে বলে ।


শচীন রা খেলে পায় ফরেনের কার!
খেললো তো রেকর্ডের তরে
এল গেল কী তাতে আমার !
গাড়ি দেশে আনতেই ট্যাক্সে রেহাই
আমার তো স্যালারিতে সে উপায় নাই !

কী এমন বলুনতো এলেম ?
নরেন্দ্র মোদী কে দেখুন
চা-এর দোকান থেকে দেশের পি এম !


পঞ্চাশ-ষাট কোটি একটা ফিল্মে
নেয় শুনি অক্ষয় কুমার ।
কলম পিসেছি আজ ছত্রিশ বছর _
শোধ বাকি হাউসিং লোন ,
পাঁচু স্যাকরার কাছে এখন ও বন্দকী ধার !


একেকদিন কী যে হয় ! সব তাতেই
বড়ো হিংসুটে হ’য়ে যাই !!
মনে হয় ,এমন কী আহামরি ঐশ্চর্য্য রাই !!
আমার যে বুবলীর মা
বলুন তো রূপে কম কিসে ।
সব হিংসে ! জানেন সব হিংসে !!


বড় বড় কথা বাদ দ্যান !
মিলনের ছেলেটারে দেখেছেন ?
– অর্ডিনারি বি কম পাশ !
বসে আছে ম্যানচেস্টারে
দেখুন না জমিয়ে কেমন !!
আর দেখুন , আমার ছেলেটা
এম এস সি ম্যাথ ফার্স্ট ক্লাশ
সদাগরী অফিসের ক্লার্ক –
মাস গেলে সাত হাজার ! বাস !!


কোথায় উঠেছে আজ ছানু সরদার !
ছিলো তো এই কিছুদিন আগে
মিনিবাস গুমটির স্টার্টার -
আজ তার চার গাড়ি রুটে !
আর ওই যে সিগ্রেট মুখে ধোঁয়া ছেড়ে গেল
ওর বাবা কাউন্সিলার !
হাগতে মুততে ওর রাস্তায় দশলাখী ছোটে !


একেকদিন কী যে হয় ! বড়ো হিংসে হয় !
সব্বাইকেই যেন বেশ স্বচ্ছল মনে হয় !
সত্যি বলছি ! খাদান আর সিন্ডিকেট-
নাম শুনলেই
গায়ের চামড়া যেন চিড় বিড় করে
বড়োই হিংসুটে হ’য়ে যাই !!
চা-এর দোকানে বসে বিড়িটি ধরাই !
ভাগ্যের দোষ দি ই ! চুল ছিঁড়ি নিজের মাথার !
কপাল চাপড়াই !! আর কপাল চাপড়াই !!