পণ্ডিত মশাই ব্যাকরণে পুরুষ শেখাচ্ছিলেন ।প্রথম পুরুষ -  সে বা তাহারা বললেন ," তৎ পুরুষঃ , কর্মধারয় যেনাহং স্যাম্ বহুব্রীহিঃ "


এ সব কী শেখাচ্ছেন , বৈয়াকরণ !!
আমি বা আমরা ই শুধু উত্তম পুরুষ ?
তুমি বা তোমরা মধ্যম ?
আর যারা নিম্নবিত্ত ,
দারিদ্রের বেড়ার ধারে কুঁড়েতে বসতি -
সে বা তাহারা ?
তারা সব থার্ড পারসন !
তবু ভালো , আমরা- বাঙালী নেতারা
ডেকে এনে সেই সব অর্বাচীনে
ময়দানে - মাঠে -,পথে ঘাটে , বাজারে ও হাটে --
আখ্যা দিই- প্রথম পুরুষ !!
আমাদের ঘেঁটে ঘ আর্থব্যবস্থায়
সে বা তাহারা থেকে যায় চিরকাল শেষে !
তারা সব ছাগলের তৃতীয় সন্তান !
উত্তম ও মধ্যমেরা --
(বিশেষত উত্তম প্রজারা-)
স্তন্য চুষে শুষ্ক করে অজা মাতৃকার ।
প্রথম পুরুষ যারা কেবলি লাফান !
আপনার ব্যাকরণে ,ব্যাস বাক্য আর্ষ প্রয়োগ বেশি !
সমাসে কেবল দ্বন্দ্ব ! ব্যতিহার !
সমাহার নেই দিগুতে ও !
কেবল অব্যয়ীভাব অন্যার্থ মননে ! !
সমন্বয় বড়ই অভাব !
অতএব হে তৎপুরুষ !!
এমন কর্ম ধারয় এখন ,
যেন তেন প্রকারেণ সে বা তাহারা যেন বহুব্রীহি হয় !
আপনি শেখাচ্ছেন লিঙ্গভেদ !
বচন বাচন !
প্রকৃতি প্রত্যয় !!
কিন্তু দেখেছেন !
চোখের সামনে দিয়ে প্রকৃতি হারায়
আর হারায় নিজেদের স্বজনে প্রত্যয় !


Like
Show more reactions
CommentShare