(একদিন এক ভদ্রলোক চেম্বারে ডাক্তার বাবুকে বললেন ,)


" ডাক্তার বাবু ,
- চারের উপর তাপ ছিল
জ্বরে শরীর কাঁপছিল
আধ-কপালী দপ দপ
বুকে জমা হলদে কফ
তার উপরে হুপিং কাশ
সবর্শরীর ব্যাধির বাস !!"
- " পেটের ব্যথা ? "
- "এখন নেই ।
ইউরিনটা হচ্ছে যেই
জ্বলছে ভীষণ উপস্থ ! "
- " বাহ্যেতে যান দু-প্রস্থ ? "
- " তা তো যাই ই ! কিন্তু আছে অর্শ ও ,
তাই , সদাই থাকি বিমর্ষ !!
বাদ দিয়েছি তৈল-ঘৃত
কিছু খেলেই অম্ল হয় ।
ইসবগুলের ভুষি তো খাই ,
কোষ্ঠ তবু ক্লীয়ার নয় ।"
--" চোখে ছানি , বাঁধানো দাঁত
কানে ভালো শুনছি না ;
গাঁটগুলোতে বাত ধরেছে
চলতে ফিরতে পারছি না । "
- " ইউরে কেসিড যাচ্ছে বেড়ে
হচ্ছে খেতে থাইরোনম ,
বাড়ছে প্রেসার , সুগার ও হাই
খাচ্ছি ওষুধ , কোথায় কম ? "
- " সয়না , আর এ যন্ত্রণা,
বাঁচার আমার ইচ্ছা নাই !
দেবো আমি ফুল ভিজিট
দিন না কিছুই মন্ত্রণা ই । "
- " লিভারটা ও দেখছি বড়
কেশটা দেখি জন্ডিসের !
যৌবনে তো মানেননিকো
পাচ্ছেন আজ তাই তো টের !
কিডনী দুটো করছে না কাজ ,
গল ব্লাডারে স্টোন আছে ;
প্যাঙ্ক্রিয়াসে যন্ত্রণা হয় ? "
--" দেখছি তো ঘা আশপাশে ।
চারটে ফুটো হার্টখানায়
ছিদ্র আছে ফুশফুশে ।
ব্লাড ক্যানসার থাকতে পারে,
জ্বর আসে তাই ঘুসঘুসে ।"
--" রোগ তো কিছু নেইকো বাকি
মৃত্যুযোগ তো দেখছি না !
চিকিৎসাতে নেই ফাঁকি ।
আমি সে সব ভাবছি না ।
অপঘাতে মৃত্যু ছাড়া
রোগ-অসুখে মরণ নেই
ওষুধ বিষুধ না ও যদি খান
আয়ুর জোরে বাঁচবেন ই ।। "
- " একমাত্র মরতে পারেন
হয় যদি বা বজ্রপাত !
যেদিন থাকে বর্ষা বাদল
গভীর রাতে চড়ুন ছাত ।
রাখলে গুঁজে কোমরেতে
হাত দুই-তিন তামার পাত
কাম্য যা তা পূর্ণ হবে
হবেই হবে বজ্রাঘাত ।। "