হৃদয়ের আবরণ হয়ে গেছে বেশ নড়েবরে
হয়ত সে আর কোনদিনেও পাবে না সে শক্তি ফিরে।
শত আঘাতের চাবুক নিতে যে থাকত সর্বদা প্রস্তুত
ছড়ায়ে সুঘ্রাণ যাতে নিজের কাছেই লাগত অদ্ভুত।
আর কত বল সহিবে রক্ত পুঞ্জে গড়া ছোট এই দেহ
তবু সর্বকিছু সপে দিয়ে জীবনাবসান করে কেহ!
এ যে বড় বিসর্জন মেনে নিয়ে যত নৃশংস পরাজয়
বিফলে অপবাদ নিয়েও করছে অমূল্য জীবন ক্ষয়।
এর পরিসমাপ্তি কেবল নিজেকে দিয়ে বলিদান;
অথচ সম্মুস্বরে বলে যাই প্রেম চির অমর, মহান!
এতো হল এক দেহ ত্যাগের বর্ণন, করিয়া সকল সমাধি ;
তার কি হবে? পরখে পরখে যে আত্না বয়ে চলে এই ব্যাধি।
না পারে কহিতে না পায় উপশমের পথ্য,
সান্ত্বনা তো দূরের কথা উপরোন্ত তিরস্কার অকথ্য!
দংশিত জ্বালায় মানবতা হারায় হইয়া বেসামাল,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে তার আত্মনাশে পরে থাকে নানা নেশায় মাতাল।
মোদের চাওয়া কতইনা বিচিত্র, পরিবর্তন অনেক সোজা!
একপক্ষ করিয়া প্রেমবৃক্ষ, কিছু প্রিয়জন সেথায় পরগাছা।
বুঝেও যখন পারিনা মানতে কি আর করার আছে?
ভালবাসা তোর হায়রে অসহায় ;মাঝ দরিয়ায় ভাসে!
কাঁদিস না আর ডুকরে কভু, কি পাবি বল অবশেষে?
তোর অমন নিরেট প্রেমকে বিলিয়ে দে অসহায়ত্বের দ্বারে।
রচিবে ইতিহাস গাহিবে গীত তোর মনের মহানুভবতায়!
মিথ্যে মায়ার বদৌলতে , ঢের বেশি মহৎ চলে যাওয়ায়।