কলম কেন স্তব্দ তোমার বদ্ধ কেন বাক
ও গো কবি কি কারণে হয়েছো নির্বাক।
তোমার চোঁখে কি দেখতে পাওনা অন্যায় অবিচার,
কেন লিখছো না কবিতায় তা নেই কি সে অধিকার।


ছেলে ডুবেছে টাকার জলে মা বাবাকে করে পর,
করে বিয়ে বউকে নিয়ে বাধছে নতুন ঘর।
মা বাবা খাচ্ছে কি নেইতো তাদের খোঁজ,
বউয়ের খবর হয়গো নেওয়া প্রতি রোজ রোজ।


সোনার ছেলে রূপার হলো বিধির কি এই খেলা,
দেবতার মত মা বাবার আজ ভিখারীর মত অবহেলা।
তা দেখে আর সয়না গো মোর নিরবে অশ্রুয়ে ভাসি,
নরকে থেকেও মা বাবার মূখে কেমনে ফুটে হাসি।


দু:খ সহে কামনা করে সন্তানের মঙ্গল,
এমন মা বাবা তরা কোথায় আছে বল।
নরক আগুনে পুড়েও তারা বাচাতে চায় সংসার,
কেন তাদের পুণ্য কর্ম হয়ে যায় অসার।


সাগরের বোকে যতই মাটি দাও ভরে না সাগর কভু,
একবার ফিরে তাকাও ওগো ত্রিভুবনের প্রভু।
দুহাত তুলে তোমার কাছে করি এই মিনতি,
তুমি দুর দাও গো করে তাদের দুর্গতি।


পরিবারে নাইকো শান্তি শুধুই ঝগড়াঝাটি,
সুখের সংসারের আনন্দ সব হয়ে গেল মাটি।
এমন পুর্ণিমা থাকবে নাকো মূখ ভরে বলি,
অমবস্যায় হারাবে একদিন অহংকারের থলি।


তোমরাও একদিন পাবে সন্তান হবে পিতা মাতা,
বুঝবে তখন ঠিকই তোমরা মা বাবার ব্যথা।
ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ টুকু থাকবে না আর হাতে,
মা বাবা যাবে চলে অজানা কোন পথে।


বুঝবে তখন করবে ক্রন্দন করবে কত বিলাপ,
তোমাদের পাপের শাস্তি থেকে পাবেনা আর মাপ।
তোমরা ঘুমাচ্ছ জাজিমের উপর মা বাবাকে রেখেছো খাটে,
তোমরাও একদিন সব হারিয়ে ফিরবে ঘাটে ঘাটে।


হারিয়ে কুল বুঝে ভুল লাভ কি হবে আর,
অপেক্ষায় থেকে সেই দিন আসতে দেরি নেই বেশি আর।