হিমের পরশ লাগলে গায়ে ঝমঝমিয়ে পড়বে ঝরে
মেঘের তখন দুঃখ ভারী আটকে রাখে কেমন করে।
জলই যে তার জিয়নকাঠি সেই যদি না রইল গায়ে
হারায় জীবন এক নিমেষে রুমুর ঝুমুর নূপুর পায়ে।


রবির তাপে সাগর থেকে জন্ম নিয়ে বেড়ায় ভেসে
মেঘবালিকা আকাশপথে নৃত্য করে দেশ বিদেশে।
শূন্যাকাশে জমতে থাকে ধুঁয়োর মতো মেঘের রাশি
ডাক দিলেও দেয় না সাড়া আকাশ পানে তাকায় চাষি।


কোথায় কখন কার আদেশে পড়বে ঝরে বৃষ্টি হয়ে
সঠিক খবর কেউ জানে না আনন্দ তার ক্ষয়ে ক্ষয়ে।
চমক লাগে চক্ষে সবার খিলখিলিয়ে যখন হাসে
প্রচণ্ড এক আওয়াজ তোলে ভুবন কাঁপে গভীর ত্রাসে।


আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাঋতু বঙ্গদেশে সবাই জানে
তৃষ্ণা মেটায় প্রাণীকুলের পরশ দিয়ে স্বস্তি আনে।
বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর কখনও বা অঝোর ধারায়
পুকুর ডোবা সাগর নদী ভরে ওঠে কানায় কানায় ।


ঋতুরাজের পাশেই আসন কবিগুরুর গানের সুরে
বর্ষা ঋতু আমেজ আনে আকাশ কালো মেঘমেদুরে।
বৃষ্টি হয়ে ঝরলে তুমি মন পড়ে না তখন ঘরে
বনফুলের গন্ধ এসে মনকে কেমন উদাস করে।