জীবনে জোয়ার লাগে আষাঢ়-শ্রাবণে
স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে শীতলতা পেয়ে
প্রতীক্ষায় এতদিন ছিল পথ চেয়ে
নবীনার স্নেহস্পর্শে ধনি নীপবনে।
কামিনী রজনিগন্ধা দোলা দেয় মনে
গ্রীষ্মে কাতর চাতক তৃপ্ত নেয়ে খেয়ে
কুণ্ডলী পাকানো চুলে কে গো তুমি মেয়ে
নয়নে বিজুরিলতা হেরি ক্ষণে ক্ষণে।


কেঁপে ওঠে সমীরণে প্রদীপের শিখা
ধীর পায়ে বধূ চলে তুলসিতলায়
কখন ফিরিবে গৃহে ঘনায় আঁধার।
নিঝুম গাঁয়ের পথ মেকি অহমিকা
বঞ্চনার ইতিহাস কারে বা জানায়
পৌঁছে না ওদের কর্ণে  কাহিনি ব্যথার।