আলতা-রঙে আকাশ রাঙা উঁকি মারে নতুন ভোর
মায়ের ডাকে জেগে উঠি কেটে গেল ঘুমের ঘোর।
ফুল তুলেছি গাঁথব মালা দুখু মিঞার জন্মদিন
খুশির ভেলায় ভাসছি আমি মনটা আমার আজ রঙিন।


ময়না পাখি জানিয়ে দিল তাড়াতাড়ি পরবি সাজ
গাইতে হবে স্কুলে গিয়ে ‘কে নিবি ফুল’ তোকেই আজ।
গাইবো আমি নাচবে শ্রেয়া টানবে রানি বীণায় ছড়
কবির গলায় মাল্য দিয়ে আমরা সবাই করবো গড়।


হাসবে কবি এসব দেখে মনটি হবে রঙিন তাঁর
হাজির সবাই বিদ্যালয়ে সবার সাজের কী বাহার।
কৃষ্ণচূড়া-জুঁই-করবী কল্লোলিত ডালের ’পর
সাম্যবাদের গান শোনা যায় দাও বাড়িয়ে আপন কর।


কবির গানে মলয় প্রাণে উচ্ছ্বসিত সাগর-জল
এপার-ওপার দুই বাংলায় কণ্ঠে সবার ‘চল রে চল’।
আমরা মানুষ কেবল মানুষ নয়কো হিন্দু-মুসলমান
পদ্মা-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বাঁচিয়ে রাখে সবার জান।


হৃদয় জুড়ে আছেন তিনি তাইতো ফোটে এমন গুল
ভালোবাসার পিদিম জ্বলে অকূলেও মিলবে কূল।
আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন কবিগুরুর স্নিগ্ধ মন
জাগাও ওদের ঠ্যালা দিয়ে ফিরে পাবে ঠিক চেতন।


শিকলভাঙার গান পেয়েছি টুটব প্রাচীর কারার দ্বার
বুক চিতিয়ে এগিয়ে যাবো বিলম্ব যে সয় না আর।
ঐকতানের শক্তি দেখে দুরাত্মাদের জাগবে ভয়
অন্তরেতে অগ্নিশিখা করবো আমরা বিশ্বজয়।