একই ছাদের নীচে অন্ধকারে তোর সোহাগ খোঁজার আগে কেমন সব কিছুই যেন  ছিল  কাকতালীয়। এই যেমন আমি পল্লীগিতির চরণে- “ ফান্দে পড়িয়া বগা  কান্দেরে”  রিং টোন দিয়ে তোকে মুঠো ফোনে রিং দিয়েছি যেই দেখি তোর ফোনেও একই রিং টোন। ভরা পুর্ণিমায় হারাব বলে খোলা মাঠের দিকে পা বাড়াতেই গা তুলেছি যেই দেখি তোর হাত বাড়ানো আমার দিকে এমন ভাবে যেন তুই আমার অভিসারী মাঠের প্রথম প্রান্ত হয়ে অনেক যুগ আগেই আমার দিকে হেঁটে এসেছিস  আমার হাত ধরবি বলে।  


তারপর অপেক্ষাকে উপেক্ষা করে কেমন করে জ্যোৎস্না বহা নদী হয়ে জড়াতে হয়  প্রশান্তির পায়ে তা তোর প্রেমের বন্যায় ভেসে যাওয়া না শিখলে কোনদিন জানাই হোত না কাকতালীয় ভালবাসা কাকে বলে।


অথচ এখন আমার খোলা মাঠ আর চোউচালা টিনের বাড়ি ভাল লাগলে তোর ভাল লাগে ঢাউস ফ্ল্যাটবাড়ী,
আমার আলোক উদ্ভাসিত পরিবেশ ভাল লাগল তোর ভাল লাগে অন্ধকার  বারোয়াড়ী,
জ্যোৎস্না বহা নদী আমার এখনও ভাল লাগলে তোর ভাল লাগে নাইট ক্লাব,
পল্লীগীতি, বাংলাদেশী নাটক, খেলাধূলা আমার ভাল লাগলে তোর ভাল লাগে ভিন্‌দেশী ভাব,
আমার গাছ-গুছালি, পাখি ডাক, ছায়া ঢাকা গ্রাম ভাল লাগলে তোর ভাল লাগে জ্যামের শহর,
তোকে নিয়ে একা একা এখনও অভিসারে গল্প করতে ইচ্ছে হলেও তোর ভাল লাগে মোসাহেবী বন্ধু বহর।
কি বলব এমন প্রত্যহিক জীবনকে? একই ছাদের নীচে অন্ধকারে তোর সোহাগ খোঁজার জন্য যে জীবন ছিল কাকতালীয় আগের, এখন কি নাম দেব এ ভালবাসার, কি নাম দেব এমন ছন্দহীন জীবনের, এ কি ফাঁকতালীয়!