মনের জানালায় মরিচা পড়া শিক ধরে বৈকালিক প্রকৃতির
মুখোমুখি এসে যখন দাঁড়াই তখন সম্মুখে কদম গাছের ফুল
চুমে ঝিরি ঝিরি আষঢ় নেমে এলেও- ও সবের নব্য ভাল লাগা
উপেক্ষিত হয়। ফেলে আসা  অতীত তখন চঞ্চল হয়ে উঠে
সারা শরীর মন জুড়ে শিহরিত ভাবনায়।


এখনও মনের মধ্যে শিহরণ উছলায় বলে ভালই লাগে আনমনা
আলাপন। তখন ভাবি তোকে খুঁজে বের করি অচেনা কলেবর
থেকে। একটিবারের জন্য হলেও স্বশরীরে দেখব বলে তোকে
চোখের সামনে। কিন্তু পরক্ষনেই আর এক ভাবনা এসে সংঘাত করে
আমার সাথে, বিরোধ বাধায় সাক্ষাত সতীনের আচরণ নিয়ে।


আসলে ওই ভাবনাটাকে দোষ দেবই বা কেমন করে?
তুই অদেখা হওয়ার পর এতটা জীবন না বলা অনেক কথা,
অনেক স্মৃতি বুকের মধ্যে নিয়ে সতীনের ঘরই তো করে গেলাম
কতটা যুগ। তোর সাথে দেখা হয়ত হবেও না আর কোনদিন।
থাক- কি হবে আর ক্ষন জন্মা মায়া বাড়িয়ে। বরং এইতো
বেশ আছি সতীনের ঘর সামলিয়ে।