সভ্য আধুনিক বাড়ির পাকা রাস্তায় প্রতিদিন
মেপেলের ঝরা পাতারা হয়ত বেগতিক ছুটে যায়
তোমার বি এম ডব্লিউ গাড়ির উচ্চ গতির হাওয়ার
ঘর্ষণে। অথচ আমি প্রতিদিন তোমার প্রতিক্ষায়
বাংলার মেঠো পথ ধরে অশত্থের ঝরা পাতার সাথে
ধূলোয় ধূলোয় গা এলিয়ে দিয়ে থাকি, কখন তুমি
ফিরে এসে আমায় ডাকবে সেই চেনা নামে-
জান, আমার জানু।


আমি জানি তোমার অট্ট্রালিকার ফোঁকর গলে
এসির বাতাস তোমায় ঠান্ডা পরশ বুলিয়ে যায়
প্রতি মুহুর্তে গরম থেকে শীতল পরিবেশ দিতে।
অথচ হাত পাখার বুকের জমিনে আঁকা শপথের
যুগোল হাত আজও আমায় স্মরণ করিয়ে দেয়
তোমার আলুথালু ভাবনায় আমাকে নিয়ে ভালবাসায়
কি ভাবে গ্রীষ্মের উত্তাপ ছিল উপেক্ষিত।


তুমি ড্রেসিং টেবিলের যে ঢাউস আয়নায়
প্রতিদিন প্রসাধনিতে সময় ব্যয় করো,
সে আয়নায় তোমার চেহারার পেছনে আমি
প্রতিদিন তোমায় ইশারায় ডাকি। এ ভাবে
তুমিই আমাকে শিখিয়েছিলে আর সব কিছুর
পরিবর্তন হলেও সব খানেই আয়নার ব্যাবহার
একই। তাই আমি যেন তোমার মনের আয়না
হয়ে প্রতিদিন তোমায় সেই চেনা নামে ডাকি-
সোনা পাখি ময়না আমার।


আজও আমি পূর্ণিমা রাতে চাঁদ দেখতে পাগল
হয়ে যাই। অথচ তোমার বদ্ধ ঘর, গাড়ির বদ্ধ
জানালার কাঁচ। তাই বুঝি তোমার মনও আজ
বদ্ধ হয়ে আছে ডাকা ডাকি শোনা না শোনা
থেকে। পূর্ণিমার চাঁদ দেখা আর না দেখা থেকে।