আসবিই যখন কেন আরও একটু আগে আসলি না।
এখন কোন হাড়িতেই রাত্রির খাবার একটুও নেই।
তুই আসার আগেও যে অনেক ছিল তা বলব না।
আসলে রাঁধতে তেমন জানি না, আবার ইচ্ছেও হয় না।
জানি না সে অভ্যেসটা এখন তোর রপ্ত হয়েছে কিনা!


এখন বেশ অনেক রাত। আসবিই যখন কেন আরও
একটু আগে আসলি না। তখনও রাস্তার মোড়ে
রহমান চাচার চায়ের দোকান খোলা ছিল। চায়ের সাথে
ওখানে টা মানে ব্যাচেলরদের অসাধারণ খাবার- পাউরুটি
আর সাগর কলা পাওয়া যায় বেশ।


দোকানে বাকীটা বড্ড পড়ে আছে বেশ কিছু দিন হল।
নতুন চাকুরি হলে, মাইনে পেলে সব শোধ করে দেব
বলে চাচাকে ঠেকিয়ে রেখেছি। কিন্তু আজ আর তাকে
মানাতে পারিনি। তবুও গরীবের মন বলে কথা। ঘরে
বন্ধু এসেছে শুনলে নিশ্চই কিছু খাবার দিতই সে।


ভালই হত। তোর উছিলায় আজ অনেক দিন পর একটু
ভাল খাবার খাওয়া যেত। তাই আসলিই যখন আরও
একটু আগে আসলি না কেন? পেটে খাবার না থাকলে কি
শুধু ভালোবাসায় মন ভরে? কথারাও হোয়ে যায় বিষের
কাঁটা, হাসিরা হোয়ে যায় তীরের হালাক, দৃষ্টিরা হোয়ে যায়
অশুভ কলার মরণ সৃষ্টি।


তাই আসলিই যখন কেন আর একটু আগে আসলি না।
তাহলে তোকে নিয়ে অনেক দিন, অনেক মাস, অনেক
বছর পর, মানে অনেক বসন্তের জমানো ভালোবাসাদের
নিয়ে ঢুকে পড়তাম শীতের লেপের ভেতর। আর চাইতাম
আজ সারারাত ধরে আরও শীত নামুক কন্‌কনে শীত।