এমন তো নয় যে তুমি এতকাল যুবতী চোখ দিয়ে  
কোন দিন কোন পুর্ণিমা চাঁদের মুখোমুখিই হওনি।
তাহলে কি  যৌবনা চাঁদ উঁকি দেয়না তোমার শহুরিয়া
কংক্রিটের আকাশে বিদ্যুতের আলোকে উপেক্ষা করে।
চাঁদ কারও একার জন্য তো আর আকাশে উঠে না।
সে ঐ একই ভাবে তার আলোয় ভরায় চারিপাশ।
সেই একই চাঁদ, একই আকাশ, একই রাত অথচ
গল্প হাসি কান্না সুখ দুঃখ কত হাজার।  


তবুওতো ভাল- যেযিন থেকে তুমি যৌবনা চাঁদকে
উপভোগ করা শিখেছ ঠিক সেদিন থেকেই তুমি দুঃখ
কষ্ট গুলোকে ভুলে শুধুই ভালবাসতে চেয়েছো তোমার
প্রথম ভালবাসার মানুষটাকে। সুখ শান্তি প্রেম আর
ভালবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিতে চেয়েছ তার অগোছালো
জীবন। কখনও কুয়াসা ঢাকা রাত তুমি এড়িয়ে গেছ
মনের অজান্তেই মনের মানুষটাকে স্বচ্ছতায় বাঁধবে বলে। ।  


তাই তোমার কখনই ভাল লাগে না কারও মুখে শুনতে
দুঃখ কষ্টের কথা, ভাল লাগে না সন্দেহ আর সংঘাতের
কথা,  ভাল লাগে না ছোখের জল, ভাল লাগে না
মনের মানুষকে ক্ষনেকের জন্য হলেও হারানোর ব্যাথা।
তখনই চাঁদকে নিয়ে চাঁদের কলংকের কথা চাঁউড় হয়
ভেতরে ভেতরে। চাঁদের তাতে এসে না গেলেও  
প্রেমের যে বেশ এসে যায়।


কেন ভেবে নাও না যে, স্প্রাইটের বোতল খুললেই
তার পেছনে হিস্‌স্‌স্‌স্‌স শব্দ তো থাকবেই, গরম তেলে
জল দিলে তো তার সাথে ইস্‌স্‌স্‌স্‌স শব্দ উঠবেই,
উতল হাওয়া বইলে জানালার ফাঁক গলে শোঁ শোঁ  
শোঁ শোঁ শব্দ তো বইবেই। যদি বল প্রেমের শব্দ কি,
তা হলে বলবঃ দুঃখ কষ্টের বিপরীতে যে শব্দ,
যদি বল ভালবাসার শব্দ কি তা হলে বলবঃ সংঘাত
আর প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে যে শব্দ। এ শব্দ শধুই
অনুভব করার, মুখে তা যায় না শোনানো।