সঞ্চারিত, এর পর কায়ায় ধারন করা সঞ্চালিত প্রান
নিথর হবেই একদিন। সকল জীবের মত মানুষ স্বাভাবিক
প্রক্রিয়ায় প্রান ত্যাগ করলেও কখনও কখনও মানুষই
কেবল নিজে থেকেই প্রান সংহারের উদ্দ্যোগ নিতে পারে।
কেউ কেউ তাই মরে যেতে চায় নিজে থেকে। কেউ কেউ
অসভ্য আবেগে ভালবাসার জীবন, ভালবাসার মানুষ,
ভালবাসার ভূবন ছেড়ে উত্তেজনায় চলেও যায়।
এ কেমন উত্তেজনা, এ কেমন মৃত্যু, এ কেমন  ভাবনা!
  
জন্ম তো একবারই হয়, ইচ্ছে করলেই মরে যেতে পারি বলেই
মরে যাব এমন ভয়ংকর মৃত্যটাকে জাপটে ধরা
তো দূরের কথা, এ ভাবনা ভাবতেও আমি আতংকিত হোই
প্রতিনিয়ত। তাই তো বুকের মধ্যে যখন কত ধরনের
ব্যাথা হয়, তখন সব ব্যাথাকেই যেন মনে হয় আমি
হার্ট এটাকের দ্বার প্রান্তে। শুভান্যুদ্ধ্যায়িরা, ভালবাসাবাসির
মানুষেরা  হাসাহাসি করে। আর আমি কিন্তু নির্দ্বীধায় তখন
ডাক্তারের চেম্বারে বসে থাকি মৃত্যুকে দূরে ঠেলে দিতে।
  
আমি দেখেছি একটা আহত গলাপের উপরেও কি ভাবে একটি
প্রজাপতি তার রঙ্গিন পাখা আগলিয়ে আহত গোলাপকে চুম্বনে
ভরে দেয় ঝরে পরার মুহুর্তে। যেন মুখে কোন কথা নেই,
চোখে নেই কোন বেদনার জল, নেই এতটুকু প্রতিদান পাওয়ার  
ক্ষুদ্র অভিলাষ। প্রকৃতিতে গন্ধ বিলিয়েই সে আজ ধন্য, আর
ভালবেসে যেটুকু সময় প্রজাপতি তার বুকে লুটে পড়ে ছিল,
সে ছিল তার স্বার্থহী ভালবাসায় স্বাভাবিক মৃত্যুকে আলিগন
করার অবসাদ।
  
যে জোনাকি রাতের আঁধারকে চোখ রাংগিয়েও ছুটে যায়
শিউলিফুল তলায় খন্ড অভিসারে। তারপর শিউলি ফুলের
মতই ডানা ভেঙ্গে টুপ করে পড়ে ফুলের সাথে মিশে থাকতে
মাটিতে, সে ভালবাসাকেও তো বলব না মৌমাছির
আত্মহননের প্রয়াস। এ যেন ভালবেসে ভালবাসার মানুষকে
শেষবারের মত জড়িয়ে থাকা অথবা বলা- তুমি চলে
গেলেও আমি আবার ফিরে ফিরে আসব তোমার সুভ্র তলে
কাফনের রঙ বড্ড ভালোবাসি বলে।