ক’জনার জীবনে রবিরসময় কাদম্বরী আসে বল?  
ক’জনাইবা কামনার জলে হাবুডুবু খেতে পারে
স্বার্থহীন ইন্টেলেকচুয়াল অসম প্রেমে। অথবা কাকে  
তুমি বলবে- ওর চোখে যে কত রাত জাগা ঘুম  
দুলে দুলে উঠে- তাতে প্রহর কতটা গড়েছে কাদম্বরী
প্রেমের কাব্য, যাকে নিঃসংকোচে বলি মরমীয়া ।  


হোকনা উড়াধুড়া, তবু সকল প্রেমেরই একটা রসাল  
উপাখ্যান আছে। আছে স্বাধীন এবং মুক্ত চিন্তায় বেঁচে  
থাকা, আছে একজন কাদম্বরীর মধ্যে আহ্লাদী স্বপ্নে
ডুবে থাকা, আছে নিজের সৃজনশীলতাকে সাম্যতায়
এবং সমঝোতায় ভাংগা গড়ার খুনসুটিতে একক
ভাবনার জগত। তা না হলে সৃষ্টি আধুড়া থেকে যায়।


সকলের মনের মধ্যে একজন কাদম্বরী বাস করে,
নীলকন্ঠির লতা হোয়ে পা থেকে বুকের মধ্যে সে
জড়িয়ে থাকে, ওষ্ঠে এসে খেলা করে প্রেম, ভালবাসা
আর নিত্য নতুন আবেগের গল্পে ভিজে ভিজে যেতে।
এ কেবল যারা কাদম্বরীর প্রেমিক হতে পারে তারাই
কেবল তাকে জড়িয়ে কাব্য লেখে রাত জাগা পাখি হতে।  


তবুও ভয়! আজকাল বিজ্ঞ কাদম্বরীরা ভালবেসে এখন যে
আর মালা গাঁথে না, প্রকৃত প্রেমের আবেগে চোখের জলে
ভাসায় না বুকের তলা, ভরা পুর্ণিমায় হারিয়ে যেতে যেতে
বলে না- নতুনদের জন্য প্রেমের জায়গা করে দিতে পুরনো
প্রেম আগলিয়ে রাখুক আগামী রাত জাগা প্রহর, সৃস্টি হোক
নতুন কাদম্বরী প্রেম আর ভালবাসার অমর উপাখ্যান।


আজ হয়ত জোড়াসাঁকো নেই, কিন্তু বারজায়া, পুয়েরতা,
আর্কো প্লাজা, পারকুই, টাইম ওয়ার্নারের মত টুইন টাওয়ার  
তো আছে অনেক, আজকাল ফেইস বুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জার
আরও কত কি নিয়ে প্রেম আর ভালবাসায় নব্য কাদম্বরীরা
মেতে থাকে দিন রাত আলোর পাতায়, ভেসে যায় ফুলের
পাপড়ি, হৃদয়ের চিহ্ন আর ওষ্ঠের উষ্ণতা। তবু কেন হৃদয়ে  
রক্তক্ষরণ আর অসহ্য যন্ত্রনা। তাই ভাবি নব যুগে এখন
কাদম্বরী প্রেম আধুনিকতায় সম্মুখে এগুলো নাকি পিছুলো!