তুই ভাল করে দেখ তো চিনতে পারিস কিনা
ক্ষণকালের সময় হারানো সম্ভ্রমের সেই দরোজা,
যখন তুই ওপারে ছিলিস কোন অজানা শংকায়
এপারে আমার ছিল সংগীহারা দুঃশ্চিন্তার শজ্জ্বা।


ভাবিস না তুই রোগ কাতুরে এ কবিতার শেষটা  
এত সহজেই কোন প্রেমালেখ্য ছাড়াই হবে শেষ,  
ভাল যখন বেসেছি তখন তোকে ছাড়া বাঁচবে না
বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরা এই ভালবাসার দেশ।


কি করে যে কখন কোথায় নিরিবিলি সন্ধ্যা নামে
শিয়রে জেগে থাকে ভালবাসার চিত্রকলা মুগ্ধ মুখ,
রোগ নিরাময়ের জন্য এইযে এত বনেদী আয়োজন
তবু কি প্রিয় মুখ ছাড়া কেবল ঔষুধে থাকে সুখ?


দরোজার ওপারে তোর লুকোচুরি কত কষ্টের দিন
তবুও চাঁদের হাসি নিয়ে মুখে বলিস ‘আছি ভাল’,  
শংকা আমার তখনও কাটে না যখন দেখি আমি
তোর শক্ত চোয়ালে কষ্টরা বেশ বিক্ষিপ্ত এলোমেলো।


আয়না কাছে মন নিয়ে এই বদ্ধ মনের দরজাটা
আজ খুলে দিই ভালবাসা ছড়াতে উন্মুক্ত দীগন্তে,
থাক পড়ে পিছে সব অসচেতন রোগের কষ্ট জঞ্জাল
তুই আর আমি বয়স কুড়াই সবুজ মনের সীমান্তে।