মহাবিশ্বের একমাত্র আলোকিত
দিব্যভূমি_ভারতবর্ষ......
এখানে এক ব্রাহ্মমুহূর্তে জন্মেছি........
এক অখন্ড আধ্যাত্মিকতা জন্মসূত্রে
পেয়েছি......
এক অমোঘ শুভ্রতা,নির্মলতা,পবিত্রতায়
জন্মসূত্রেই আচ্ছন্ন থেকেছি.....
শক,হূণ,মুসলমান ..যতো সব বনের হিংস্র
পশুরা রক্তস্নান করেছে আমার মনোরম
মন্দিরে.....
লুট করেছে আমার স্বর্ণকলশ,ভেঙেছে মোহন
মুরলী তথাগত বুদ্ধের মূর্তি ....
আমি সব হারানোর দুঃখে কতো
কেঁদেছি_নতজানু হয়ে চলে গেছি নির্জন
তপোবনে.....
তারপর এক চিন্ময় জ্যোতি অনুসরণ করে.....
পাহাড়,অরণ্য,চোখের জলের নদী পেরিয়ে
ত্রিতাপে দগ্ধ হতে হতে ধর্ষিতা রমণীর
মতো
যুগান্তর ধরে হেঁটে চলেছি .....
ছায়া থেকে হয়েছি কায়া,শরীর থেকে
অশরীরী .........
ক্ষতবিক্ষত হয়েও ,অসীম যন্ত্রণা নিয়েও
বেঁচে থেকেছি.....
বাইরের নিষ্ঠুর পৃথিবী আমার মখমল বুকে
বসিয়েছে ছুরি......
আমি তাদের জন্য গুহার ভিতর শিলালিপির
মৌন মুহূর্তে লুকিয়ে রেখেছি ভালোবাসা


আমি ভাঙাচোরা মন্দিরগাত্রে ফুটিয়েছি
শিউলিফুল,আগ্নেয়গিরির বুক চিরে এনেছি
শীতল ঝর্ণা......
এই আগুনে পোড়া লাবণ্য,অনিকেত অমরত্ব
,এই সৌরভ আমি জন্মসূত্রে পেয়েছি॥