হে দুরন্ত বৈশাখ - শানিত তাপস,
উড়ুক্কু হে শনির মুকুট, হে বৈশাখ, রুদ্র-বৈশাখ।
বাঙালির কোটি প্রাণে জাগাও সৃষ্টির নব জোয়ার
পুরানের গ্লানি মুছে, ভরে তোল এ ধরা নব পল্লবে।
হে রুক্ষ, চণ্ডিরূপী আশীর্বাদের কোরক -
তোমার ভীমনাদী ত্রাস; তাপিত-দলিতের প্রাণে
আনুক সুরেলা শান্তির নিবিড় প্রচ্ছায়া।
তোমার করাল থাবায় ধুয়ে দাও আজ,
মুছে দাও যত আছে ক্লেদ, শত কালিমা।
তোমার হুঙ্কারে কেঁপে ওঠুক শ্বাপদের প্রাণ,
বিভীষণ ত্রাস, খাণ্ডব দাহের ভয়াল মূর্তি।
ভয়াল করাল থাবায় গৃহহীনে করো নাকো গৃহহারা
কিষাণের অন্ন নিয়ো না কেড়ে, ভাসিয়ো না জলে;
প্রলয় নৃত্যে তোমার জেগে ওঠুক প্রাণের বিষাণ।
শত দীনতার করে অবসান ক্ষুদ্রতারে কর পদানত
আলোর আকাশে আজ বাজুক তোমার বীণ
দহন তাপে ভস্মীত করো মিথ্যায় বোনা জটাজাল,
অন্তরে পোষা বিভেদের ক্লেদাক্ত দেয়াল -
ভেঙে দাও সব শ্রেণি-বিভেদের কারা-প্রাকার
উঁচু-নীচু সাদা-কালোর সব বাধা ব্যবধান।
ধূলিসাৎ কর ত্রাসের শৌর্যচূড়া দলিতের পদতলে।