কথায় আছে – কপালের লিখন না যায় খণ্ডন। একেই নিয়তির ফের বলে কি না জানি না। আসরের প্রিয়কবি কবীর হুমায়ূন আজ সেই নিয়তির ফেরে নার্সিংহোমে শুয়ে যন্ত্রণার দুঃসহ সময় পাড়ি দিচ্ছেন।


প্রকাশ, গত ২৬ নভেম্বর অফিসে বসেই ‘বিনা মেঘে বজ্রপাতের শিকার’ হন। ফ্লোরে স্লিপ করে পড়ে গিয়ে কোমরে প্রচণ্ড চোট পান। গেল কদিন "ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে" চিকিৎসা নিয়েছেন। উন্নতি হয় নি, সার্জারীর প্রয়োজনে গতকালই পান্থপথে "বাংলাদেশ স্পাইন এন্ড অর্থপেডিক্স হাসপাতালে" স্থানান্তরিত হয়েছেন। আজ অথবা কাল তাঁর অপারেশন হবার কথা। সবাই তাঁর জন্যে দোয়া/আশীর্বাদ করবেন।


বাংলা কবিতার আসর – আমার বিবেচনায় একটি পরিবার। এই পরিবারের কোন সদস্যের ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ আন্তসদস্যের মাঝে শেয়ার করে আমাদের মধ্যেকার সাম্য-প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরো জাগ্রত করতে পারি। তেমন দায়বদ্ধতা থেকেই এই পোস্টের অবতারণা। বন্ধুরা, আমার এই প্রয়াসকে স্বজনপ্রীতি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগ না ভেবে একটু মানবিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখুন; আমাকে ভুল বুঝবেন না। আসুন এই পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রীতির বন্ধন আরো মজবুত করি।


এই আসরে আমার বয়েস মাত্র ১৩ মাস। এরই মাঝে বহু শুভার্থী বন্ধুর সমাগম ঘটেছে। যারা ছিলেন নিতান্তই ভার্চুয়াল বন্ধু তাদেরই অনেকে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে রূপান্তির হয়েছেন। অনেকের সাথেই আন্তরিক যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। এই পাতার কবি হিসাবে (অন্য কোথাও সম্মান-খাতির পাই বা না পাই) এখানে মিনিটে মিনিটে ভার্চুয়াল বন্ধুদের সাথে কত শুভেচ্ছা ও ভাব বিনিময় করছি। কে জানে সবার অলক্ষে কোনদিন আমিই অতীত হয়ে যাব। আমার পাতায় কেউ এসে কবিতা পড়ে মন্তব্য করেও আর জবাব পাবেন না। এই পাতাটি আর কেউ কোনদিন খুলবে না।


ভেবে দেখুন তো; যাকে প্রতিদিন এত কবি ভালবাসা জানাতো কদিনের অদর্শনে হয়তো তাকে আর কারো মনেই পড়বে না। আমার জন্য পাতায় কোন স্মৃতিচারণ হবে না, দুকলম লেখাও হবে না। কিন্তু যদি কোন জানাশোনা বন্ধু আমার বিষয়ে আসরে দুকলম লিখেন – আমার বিশ্বাস আসরের বন্ধুদের মাঝে ভালবাসা ও আশীর্বাদের বান বয়ে যাবে। নিকট অতীতে এমনটাই দেখেছি।


একবার ভাবুন; যে বন্ধুদের বুকে নিয়ে এই আসরে রাতদিন কাটয়েছি, ভালবাসা দিয়েছি, ভালবাসা পেয়েছি সেই আমি সবার অলক্ষে নিভৃতে চলে গেছি অথবা জীবনের সন্ধিক্ষণে একা একা যুদ্ধ করছি অথচ আসরের কোন বন্ধু জানতেও পারলেন না, সহানুভূতি বা ভালবাসাও দেখাতে পারলেন না... তা কি কোন বন্ধুর জন্যই সুখকর হবে? কাজেই, আসুন আমরা সবাই সবার বন্ধু হই, সুখ-দুঃখ ভাগ করি। তাতে আমাদের জাগতিক কোন ক্ষতি হবে না বরং একজনের দুঃখটা অন্যেরা ভাগ করে নিতে পারায় ক্ষতিগ্রস্তের দুঃখের ভার অনেকটাই কমে আসতে পারে। সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল।