হৃদয়ে রাখিও বন্ধু আমারে, দিয়ো গো প্রাণেতে ঠাঁই
সুখে-দুঃখে ভালয়-মন্দে তোমাদের যেন সদা পাশে পাই।


দেখতে দেখতে বাংলা-কবিতা আসরে আমার বিচরণের একটি বছর পেরিয়ে গেল। মহাকালের হিসাবে সময়টা একেবারেই অগন্য কিন্তু আমার ও আসরের এই ক্ষুদ্র জীবনে সময়টা বেশ উল্লেখযোগ্য বৈকি। আসরের অজানা অচেনা বন্ধুদের সহযোগীতা ও ভালবাসা ছাড়া এই মাইলফলক অতিক্রম করা কিছুতেই সম্ভব হতো না। তাই আমি আসরের সকল বন্ধু পাঠক শুভানুধ্যায়ী ও সতীর্থ কবিদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। সেই সাথে ভার্চূয়াল জগতে এমন একটি ভ্রাতৃত্বের আবহ তৈরী করে দেয়ার জন্যে মাননীয় এডমিন মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জানাই।


কবিতা-পাতায় প্রতিদিন কত বন্ধুর কবিতা পড়ি, কত বন্ধুর সাথে ক্ষণে ক্ষণে ব্যক্তিগত আলাপচারীতা ও কুশল বিনিময় হয়। সুখে দুঃখে একে অপরকে ভাই-বোনের মত কাছে পাই। কেউ হয় তো কাউকে জাগতিক কিছু দিতে পারি না কিন্তু যা পারি তা আন্তরিক ভালবাসার অকৃত্রিম নির্যাস – তা কেবল ঐশ্বরিক আশীর্বাদের সাথেই তুলনা চলে, এর মূল্য অপরিসীম। এই উপলক্ষে আসরের বন্ধুদের উদ্দেশ্যে আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসার নিদর্শন কবিতায় প্রকাশ করছি যা - আসরের প্রিয় কবি প্রবীন ডাক্তার প্রবীর চ্যাটার্জী মহোদয়ের নামে উৎসর্গকৃত:


শুক্লা দশমীর ভরা চাঁদ, বন্ধু তোমায় জানাই নমস্কার
তোমার মত বন্ধু পেলাম; বিধাতার এক সদয় পুরস্কার!
এ দানের জানি নেই কোন প্রতিদান, যেন এক মণিহার
তোমাদের ভালবাসার কাছে বন্ধু আমি মেনে গেছি হার।


দিতে পারি শুধু উদ্গত বাণী হৃদয় নিংড়ানো তপ্তশ্বাস
জীবনে এ ঋণ শোধতে পারব কি-না নেই তার বিশ্বাস!
প্রাচুর্যে ভরেছি প্রাণ পেয়েছি অগাধ তোমাদের ভালবাসায়
ঠাঁইটুকু যেন অটুট রাখতে পারি; বেঁচে আছি সে আশায়।


রক্ত নই, ভাই নই, নেই কোন পিতা-পুত্রেরও বন্ধন
তবু কেমনে হৃদয়ে পুরে করে যাও স্নেহ-প্রীতি-চুম্বন।
সকলের তরে আমার এ উচ্চশির হোক আজ অবনত
আশিস কর গো; এ প্রেম যেন রাখতে পারি সমুন্নত।


সবার সুস্থ সুন্দর কাব্যময় জীবন কামনা করি।
আমিও আপনাদের আশীর্বাদ প্রার্থী।