নৈঃশব্দ্যের ভালোবাসায় কবিতারা বেঁচে থাক চিরকাল।
চকিত বিশ্বাসে ঝুলন্ত অনুভবের ধূলি
উড়াই চেতনার পিরহানে। আমি মুক্তপ্রাণ তাই -
গেয়ে যাই, অনুকূল শব্দেরা করে কানাকানি।
কিছুটা সময় হাঁটা নিষেধের পথ ধরে
তারপর অন্ধকারে, থিতু হয়ে যাওয়া।
বিচ্যুত ভাবনার মৌমাছি উড়ে, রন্ধ্রে জাগায়
ভালবাসার শিহরণ আর সময় পাখিরা তখন
দূরে চলে যায় নিষেধের আঙিনা ছেড়ে।


বাক-চাতুর্যের খেলা -
খেলেছি খানিক কবিতার পাতা জুড়ে
সময় যে ঘনায় তটে,
এবার কী-না যেতে হবে?
নিয়তি এমনই বলে, দেখেছি তা প্রতি পলে।
ডেকে যায় ক্ষীণস্বরে চঞ্চল ‘বুলবুল’,
কখনো কি স্থির হয়, বসে পাখি একই ডালে?
প্রহরে প্রহর মিলে কাটছে মিনিট-ঘন্টা-দিন
সময় যে হাতে আছে গোনা প্রহরের!


কি জানি কী এত সুধা করেছি বপন
কবিতার পাতা জুড়ে; ঠিক তার পাই না খুঁজে।
ক্ষণে ক্ষণে বন্ধুরা করে কুশল বিনিময়,
আসে শুভাশিস, প্রীতির অর্ঘ, শত অরিহবাণী
পাইনি যা আগে কভু সারাটি জনম  
বিলিয়েছি যত আপনারে, নিঃশেষে যাবার আগে,
জীবন ডিঙার অরিত্র আমি সুদূরের যাত্রী
কেউ নাহি পশে মোর সুখ কী-বা দুঃখ,
বন্ধুরা এবার বেঁধেছে ঋণে।


এত সুখ ভাল লাগা কি করে সহি?
মরণ যে ডাকে পিছে কেমনে রহি?


- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-২৭) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।