যাইহোক শেষ পর্যন্ত তাকে আবার বললাম তোমার কোন কিছু নেয়ার দরকার নেই ব্যাগ এখানে রেখে খালি হাতে কাল আবার যাও।কোন অভিভাবক ছাড়া আসবেনা, তাহলে আমার সাহেব তোমাকে আর স্থান দিবেনা, অবশ্যই কাউকে সাথে নিয়ে আসবে।আজ রাঁত হয়ে গেল যুবতী আর ফিরেনা, ভাবলাম সম্ভাবত বাড়িতে গিয়েছে।পর দুপুরে বিষন্ন মনে ফিরে এলো একাকী।হয়তো এটাই ভাবছে কাউকে যখন সাথে আনতে পারিনি মনে হয় আজ আর স্থান পাবনা। তাই কাপড় গুছিয়ে ছলো ছলো চোখে রওয়ানা দিল। দয়ায় কেঁদে উঠল মন চোখে এলো জল।বললাম রাবেয়া যেওনা, দাড়াও কোথায় যাবে?কোথায় খাবে?অন্তত এ বেলার খাবার খেয়ে যাও।যুবতী বলল বাড়ি থেকে যেতে বলেছে বাড়িতেই চলে যাই, বললাম মিথ্যা তো আনেক বলেছ, এবার সত্যিটা শুনতে চাই।খাবার খেতে দিয়ে কোমল কন্ঠে বললাম এখনও সময় আছে তুমি ভেবে দেখ, নিজের উপর কেন অকারনে বিপদ ডেকে আনো?পরিচয় ছাড়া কোথাও স্থান পাবেনা, এই কথাটা কি যানো? কি এমন করেছ? যার জন্য পরিবারে নাই ঠাঁই! প্রয়োজনে তোমার হয়ে আমরা ক্ষমা চাইব।তোমার কোথাও যাওয়ার দরকার নাই, আমার কাছেই থাকবে, শুধু সঠিক পরিচয় জানতে চাই।এতক্ষনে কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে লক্ষ করলাম।এবার সে ফোন নাম্বার দিয়ে বলল সত্যটা জানা যাবে এই নাম্বারে ফোন দিলে। বললাম এতদিন কেন আমাদের সাথে বাটপারি করেছিলে? যুবতী বলতে লাগল মামাদের কাছে জানিয়ে দিবেন তাই নিজের পরিচয় গোপন করছিলাম।আমি আপনার ফুফাত ভাগ্নি অমুকের মেয়ে।বিষ্ময় চোখে মুখ পানে তার রইলাম শুধু চেয়ে।সত্যটা সব খুলে বলব শর্ত একটা আছে, জানাবেন না আমি যে এখন আছি আপনার কাছে।আমি জিজ্ঞাসা করলাম তোমার বাবা কি করেন? বলল বাবা মাদ্রাসার সহ সুপার তার একমাএ কন্যা আমি।বললাম জান মান দিতে কেন ঘর ছেড়ে পথে এসেছ নামি?যুবতী বলল মা বাবা বিয়ে দিতে চায়, আমি বিয়ে করবনা বলে পালিয়ে এসেছি।আজ প্রথম নয়, এমন আরও দুবার পালিয়েছি, চিটাগাং গিয়েছিলাম, গার্মেন্টসে কাজও নিয়েছিলাম,পরিবেশ ভাল লাগেনি বলে ফিরে এসেছি।মায়ের স্বর্ন টাকা পয়সা অনেক নষ্ট করেছি।প্রথম বার সবাই ভেবেছিল আমি কোন ছেলের সাথে পালিয়েছি।পরে তাদের ভুল ভেঙ্গে যায়।আমি শুধু হা করে ওর কথা শুনছিলাম, আর অবাকই হচ্ছিলাম।বলল কিছুদিন আগে আন্টি বেড়াতে এসেছিল আপনার কাছে, তার মুখে আপনার কথা অনেক শুনেছি, তাই এবার বিপদে আপনার কাছে নিতে এসেছি ঠাঁই।অজানা অচেনা কারো বাড়িতে গিয়ে কি থাকার জন্য জোর করা যায়?আপনার সন্ধান আগে পেলে আমি কখন ও চিটাগাং যেতামনা। এবার সাহেবকে ফোন দিয়ে সব খুলে বললাম।