অগ্রহায়ণ শেষে হেমন্তে বাজে
বিদায় বীণার সুর,
নবান্ন এনে ঘরে বছরের তরে
যাবে সে অচিনপুর।
প্রত্যুষে ঘন কুয়াশা রে লয়ে
শীত এসে কড়া নাড়ে
পৌঁছিয়ে দেয় পৌষের হাওয়া
বিশ্বের দ্বারে দ্বারে।
রঙিন জ্যাকেট মোজা কানটুপি
হিম সন্ধ্যার সাজ
কনকনে শীতে কেঁপে ঠকঠক
কিষানীর ধুম কাজ
খেজুর বৃক্ষে ঝুলছে হাড়ি
সেজেছে পাড়া গাঁ
খসখসে গা, চরে চরে ঠোঁট,
চৌচির হাত পা।
হলুদ সবুজ সরষে খেতে
জুড়ায় আঁখি প্রাণ
গোলাপ গাঁদা ডালিয়া ফুলে
ছড়িয়ে দিল ঘ্রান।
লাল শাক, শিম, পালং, কপি
হাটে মাঠে ক্ষেত জুড়ে,
দেখে দেখে দুটি নয়ন জুড়ায়
খেয়ে পরান ভরে।
শীত সকালে চুষি চিতই
গড়ম ভাপা পিঠা,
পুকুর জলে ভিষন তেতো
রৌদ্র দারুন মিঠা।