আমার জন্ম ইতিহাস বিশেষ কিছুই নয়
মাটির নিচে তালগোল পাকিয়ে ছিলাম
সেখান থেকে টেনে হেঁচড়ে উপরে তুললে
তারপর নিক্ষেপ করলে জ্বলন্ত আগুনে
বহুবার আঘাতের পর আঘাত করলে
না, এখানেই শান্ত হলে না তোমরা
কালো রঙ থেকে উজ্জ্বল করলে সাদা রঙে
এখানেও শেষ নয়, তোমাদের সভ্যতা
গায়ে আমার ধার দিলে সুবিধা মত করে
আর তারপর একটা বাক্সে বন্দী করলে
ও হ্যাঁ, একটা সুন্দর লেবেল সেঁটে দিলে
নির্ধারণ করলে বাজারে আমার মানদণ্ড,
আমি বিকিয়ে গেলাম তোমাদের হাতে।
আর তারপর...?
তারপর আর কি!
আবার সেই পিটুনির পর পিটুনি আবিরাম
আমাদের ব্যবহার করে গড়ে তুললে নব্য সভ্যতা,
এক সময় আমাদের ঘুমন্ত অবস্থায়
মাথা ধরে টেনে তুললে আচ্ছন্নভাবে
আবার পেটালে এপাশ ওপাশ অবিরাম
আমরা সোজা হয়ে দাঁড়ালাম তোমাদের তালুতে,
তবুও মুক্তি দিলে না আমাদের
পুনরায় গেঁথে দিলে সভ্যতার আঙিনায়।
একদিন আমরা একজোট হয়ে মলিন হব
আমাদের মলিনতা দিয়ে তোমাদের সমাজে
এখানে ওখানে তোমাদের তাচ্ছিল্যে ছড়িয়ে পড়ব
ছড়িয়ে পড়ব ঘরে-বাইরে মাটির পৃথিবীতে,
তোমাদের অসাবধানে নিঃশব্দে বিষ ছড়াব
বিষ ছড়াব তোমাদের সভ্যতার শরীরে
কোন টিটেনাস্ কোন ঔষধ পারবে না বাঁচাতে
বাঁচাতে পারবে না সভ্যতার উৎকর্ষ
তারপর যন্ত্রণার হবে অবসান চিরতরে!
আমাদের প্রয়োজন তো তোমরা জানোই
তবে মনে রেখো প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেও
সভ্যতার ইতিহাসে লিখ না নাম কলঙ্কের অক্ষরে!