(কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য)


ছোট ছেলের আবদার
শোনাতে হবে গান,
দুঃখু মিঞা কেমন ছিল
কিবা তাঁহার দান!
ভাবতে বসে গেল বেলা
এল সন্ধ্যায় গান,
কবি লেখেন লিচু চোর
জুড়ায় তার প্রাণ।
কথায়-সুরে গাইলাম
শিশু মনের ব্যথা,
খুশিতে আজ ঝলমলে
দুরন্ত সে যথা। .......


"বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া!
পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গ্যে' যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,
ও বাবা মড়াৎ করে
পড়েছি সড়াৎ জোরে!
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।
আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাগিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
আরে ধ্যাৎ শেয়াল কোথা ?
ভেলোটা দাঁড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জুড়লো ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!
‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গ্যে' বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!
যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস? ফের হপ্তা?
তৌবা-নাক খপ্তা!"......(কাজী নজরুল ইসলাম)