////// আলাপন \\\\\


রাজার আদেশে রাজসভা হলে শুরু
সভাকক্ষ  আজ তাই ভয়ে দুরু দুরু,
সভাকবি ঘোষণায় রইলেন মৌন
আজকের বিষয় মুখ্য বনাম গৌণ :


কবি : বলতে পারেন পৃথিবীতে বড়ো সুখী কে ?
মন্ত্রী : যার কাছে আছে অধিক অর্থ সে ।
রাজা : একটু বুঝিয়ে বলুন --
মন্ত্রী : অর্থাত্ যিনি পিছন মেরে বড়লোক।
সভাকক্ষ : হা-হা-হা হি-হি-হি...
বিদূষক : সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের মুখ দেখা পিতাই।
সভাকক্ষ : সাধু-সাধু-সাধু!


কবি আবারোও বললেন : পৃথিবীতে সবচেয়ে দুঃখী কে ?
মন্ত্রী : আরে ধ্যাত্ , যার নেই অর্থ সে ।
রাজা : আহা, খোলাখুলি বলুন --
মন্ত্রী : আপনি মহারাজ।
সভাকক্ষ : হা-হা-হা হি-হি-হি...
রাজা : কেন, কেন ? আমিই কেন !
মন্ত্রী : দিলেন খাতা আমার হাতে
        আপনাকে ঐ মারতে ভাতে,
        দেশটা বেচে আনছি ছেঁচে
        ব্যাঙ্কে টাকা যাচ্ছে নেচে,
        আজ আছেন কালযে নাই
        আমিই রাজা, আপনি বাই!
বিদূষক : শুধু গর্জনে নাই কাজ মেঘ
            সৃষ্টিতে তাই বৃষ্টি হতে শেখ।
সভাকক্ষ : সাধু-সাধু-সাধু!


সভাশেষে বললেন রাজা রেগে
মন্ত্রীর দিকে হুড়মুড় বেগে --
ঠোঁটের ফাঁকে মুচকি হাসি রেখে :


রাজা : কতদিন বাঁচতে চাও তুমি, বল বাঁকা ?
মন্ত্রী : আছে টাকা তারপর সবই ফাঁকা ।
সভাকক্ষ : বটে বটে , তাই নাকি!
রাজা : বলদেখি বিদুষক উত্তর খানা
         আছে জানা, নাকি বলতে মানা?
বিদূষক : যতদিন হবে নাকো শেষ
            দুঃখীর কান্নার অন্ত রেশ!
সভাকক্ষ : আহা বেশ...বেশ...বেশ...!!