আমি যখন মেরুদন্ড সোজা করে
মাথা তুলে সূর্য্যের দিকে তাকিয়ে
সবুজ আর সতেজ হয়ে উঠেছি --
ঠিক তখনই তুমি হাত বাড়ালে
আশ্রয় চাইলে আমার কাছে অস্তিত্বের,
আমি নিজেকে উজাড় করে দিলাম
সে আজ হল কত কাল।


এখন নাগপাশে বদ্ধ জীবন আমার
আষ্ঠে-পিষ্ঠে বেঁধেছ তুমি আমাকে,
লতানো শরীর ঢেকেছে আমার অস্তিত্ব
বাঁচার তাগিদ নাকি শুধু খেলা তোমার !
আমার সবুজ মনকে করেছ বিবর্ণ
তোমার সকল ইচ্ছাই পূর্ণ হয়েছে সতত
আমি ছিলাম কেবল একটি দন্ড মাত্র।


এ সমাজ পুরুষ শাসিত না নারী ?
নারী বলবে, আমি না হলে ফুল ফুটতনা
পুরুষ বলবে, আমি ছাড়া তুমি অস্তিত্বহীন ,
তাহলে মুক্তির পথ কি ধ্বংসে !


বৃক্ষ আরোও শক্ত আরোও স্ফিত হয়ে
ছিন্ন করতে চায় সকল মূর্হেঢ় বাঁধন,
স্বরীসৃপ বেঁধেছে মায়ার বাঁধন অস্তিত্ব রক্ষায়
চাইলেই পাবে না মুক্তি অনন্ত জীবন !


এল সেই-সময় উঠল প্রচন্ড ঝড় সহসা
দু'য়ের দ্বন্দ্বে আর ক্ষ্রীপ্ত ঘর্ষণে খন্ডিত হল
রূপের-বিদ্যার-বলের আর বন্ধনের বেড়াজাল
আবার হাসল বৃক্ষরাজি ; সূর্য্য উঠল আকাশে
ডানা মেলতে চায় সবুজ মনের ইচ্ছাগুলো --
অকস্মাত এক মৌনহাসি ছড়িয়ে পড়ে
কঠোরের  প্রচ্ছন্নে আগামীর নব সূচনায়
অস্তিত্বের স্বত্ত্বা অগনিত সবুজ চরার দল
মাথা দুলিয়ে দুবাহু বাড়িয়ে ধরতে চায়
অপেক্ষমান ভঙ্গিমায় মিলন উত্সুখ অস্তিত্বের খুঁটি।