বিষন্ন চাঁদের দিকে চোখ রেখে প্রেম এসেছিল
নারকেল-সুপারী পলাশ-শিমুল তাল-তমাল
শাখায় শাখায় দিয়েছিল দোলা প্রাণে,
অনুভবে সমৃদ্ধ ছিল  ভলোবাসা
মুগ্ধতায় মগ্ন হৃদয় বন্ধনে আবিষ্ট
ভাষা ছিল নিরন্তর প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরা
তবু চাঁদ ডুবে অন্ধকার এলে
ভলোবাসা শুধু আবহমান স্মৃতি।


প্রেম প্রকৃতি-পুরুষ দু’য়ে মিলে
আলিঙ্গন ধরা দেয় দু'হাত বাড়িয়ে
পড়ে থাকে ছায়া ফেনাটুকু –
মায়া-বন্ধন ছিন্ন করে পাড়ি দেয়
কোনোএক অজ্ঞাত আলয়ে নিভৃতে,
দোষ নয় হেথা কনাটুকু মাত্র
বিরামহীন স্রোত চলে অবিরাম।


পোশাকী শেহেরাজাত মায়া দিয়ে বেঁধেছিল তারে
মৃত্যুও পায়নি মৃত্যুর স্বাক্ষাত
একেবল ক্ষনিকের আবেশ নয়
নয় আরোও কিছু যাহা বহমান ধারা –
আনার-কলি ফুটে ঝরে গেছে কোন সুদূরে
গৃহে হয়নিকো বন্দী মুক্ত আকাশে তারারা।
দেবদাসও চেয়েছিল প্রনয় তবু
প্রাণের সে ব্যকুলতা খন্ডিত আজও
হেলাভরে তুচ্ছ নিবেদন সেও
সে কি ছিল প্রেম !
ছিল শুধু মায়ার বাঁধন সতত
পুরুষ কখনও পারেনি বাঁধতে তারে
প্রখরতায় অনাবৃত দিন আসে-যায়
পড়ে থাকে নিছক অনুধ্যায়,
উদ্দেশ্য-প্রণীত বাসনা যেখানে ম্লান
সেখানেও কি ছিল ভালোবাসা –
দেবযানী কি সুখ পেল কচ অবিচল !
আরো আরো দাও প্রাণ দিও প্রেম
পোড়াও আমাকে বহুরূপে বার-বার
একি বিধাতার শাপভ্রষ্ট আশীর্বাদ
নয়তোবা দগ্ধ তুষের বিশুদ্ধ আগুন,
পূর্ণহোক মানব জীবন তোমার ছোঁয়ায় !