(কথা ও কাহিনী অবলম্বনে পঞ্চম নিবেদন)


হেই কোন্ ছোট্ট বেলায় বাপ মা'রে হারায়েছি মনে লাই
এখন বাবুই আমার মনিব উনি আমার মালিক
যখন যা বলে করে ফেলি কোন চিন্তা না করি
যখন যা চাই - টাকাকড়ি, জামাকাপড়ের অভাব লাই
খুব সুখে আছি বটে এই বাবুর আলয় বারো বচ্ছর হল।
তবে বড় একা লাগে রাতের বেলায় বড় একা
একটা বোন ছিল সেও ভেগেছে চোদ্দ বছর বয়সে
তার কথা চিন্তা করে মাঝে মাঝে চোখ ভিজে ওঠে
আবার সকাল হলে খাজনা আদায়, অনাদায়ে জোর খাটাতেও হয়
সন্ধ্যা-রাতে কাঠ পাচার, মদ পাচার আরও অনেক কিছুই
কিন্তু মদ মেয়েছেলে নিয়ে ফুর্তি আমার ভাল্লাগে না
বয়সতো কম হল না, তা হবেক দু'কুড়ি দুই
তাই ভেবেছি ছুটি নিয়ে চলে যাব তীত্থে
পড়ে থাকব একধারে নিজের মত করে,
কিন্তু তা হবার লয় গো হবার লয়।
মনিব বলে আমার কথা না শুনলে তোরে জবাই করব
তাই মন না মানলেও হুকুম তামিল করতেই হয়।
কিন্তু সেদিন কি যে হয়ে গেল, কি করে ফেললাম
কে যেন কোথা থেকে একটা মেয়েছেলেরে উঠিয়ে আনল
বাবু আমাকে দিয়ে মদ আনাল আর বলল
যা তুই মেয়েছেলেটার ঘরে যা দেখি যা
আমি বাবুর গোলাম তাই যেতেই হল
মেয়েলোকটার শরীর কালো বোরখায় ঢাকা ছিল
আমাকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়ল।
হাত জোড় করে কাঁপতে কাঁপতে কিছু বলতে চাইল
কিন্তু কেন জানিনা বলতে পারল না
আমি ওর নীচের কাপড় ছিঁড়তেই ও গোঙাতে লাগল
তখনও ওর মুখটা কালো কাপড়ে ঢাকাই ছিল
যতক্ষণ না ওকে উলঙ্গ করে বাবুর জন্য ভোগ দেব
ততক্ষণ আমার ছুটি লাই -
অনেকটা সময় চলে গেলেও ওর মুখ থেকে
কাপড় সরাতে না পারায় বাবু এসে বলল -
তুই একটা ছাগল, যা দুয়ারে গিয়ে দাঁড়া
আমি দু'ঘন্টা দাঁড়াবার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
তারপর ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে বাবু বলেন
ঘর থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করে দিয়ে স্নানে যা
আমি যখন ঘরে গেলাম আমার চোখ জ্বলে যাচ্ছে
নিজেকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করছে
অসহায় বাপ-মা মরা আমার সেই বোনটার মুখটা দেখে
নিজেরে আর স্থির রাখতে পারলাম না
ছুটে বেরিয়ে গেলাম বাবুর ঘরের দিকে
উনি তখন নিজের শরীর থেকে কাপড়ের জট ছাড়াচ্ছে
মহুর্তে আমি সেই কাপড়ের ফাঁসে ওর গলায় দিলাম টান
মাত্র এক মিনিটের মধ্যে বাবুর শরীর হল নিথর,
অচৈতন্য বোনের শরীর নিয়ে গেলাম গঙ্গা স্নানে
সেই স্নানই হল আমাদের মুক্তির স্নান
সূর্য উঠল আকাশে আলোকিত চারিদিক
সলিল সমাধির উপর তখন বয়ে চলেছে আলোকের ঝর্ণাধারা!