এখুনি একটা প্রতিবাদ চাই
একটা মিছিল বের করা চাই
চাই নাগরিক অধিকারের স্লোগান
চাই সবকিছুর জন্য সমান অধিকার।
মানুষের সময় এখন বড়ই কম
চারদিকে অস্থিরতা আর কোলাহল,
তাই খালি গলায় যতই চেঁচিয়ে
বলুক না কেন - চাই চাই আর চাই
সেকথা শোনার লোক নেই!


চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে শুনছিলাম
ছেলেটির হাতে ছিল গরম লাল চা
আর মুখে ছিল কথার সশব্দ বারুদ,
দোকানে বসা অধিকাংশ মানুষ নির্বিকার
ওরই মধ্যে একজন বলে উঠলেন -
প্রতিবাদ করবেন কি দিয়ে
মিছিল করবেন কাদের নিয়ে
ক্ষুদার্ত পেটে কে লিখবে স্লোগান?
কেন?  কবিরা লিখবেন স্লোগান।
ঐ লোকটি আবারও বললেন -
আরে ধ্যাত্ মশাই বিপ্লব মারা গেছে
কবিরা এখন বিল্পবে বিশ্বাস করেন না
আর ভাড়া করা লোক দিয়ে মিছিল
সে তো মেরুদণ্ডহীন অমানুষের দল।


প্রতিবাদী ছেলেটি ছুটে বেরিয়ে এলো
পাকা রাস্তার মাঝখানে খালি পায়ে
চায়ের গ্লাসটি ছুঁড়ে মারলে রাস্তার মাঝখানে,
এবার দোকানের লোকগুলো উৎসুক চোখে
বেরিয়ে এলো কোলকাতার ব্যস্ত সড়কে
কেউ কেউ মুখ চাওয়া-চাই করছেন
কেউবা ভাবছেন দেখিনা সার্কাস
কেউ কেউ ভয়ে দূর থেকে লক্ষ্য রাখছেন।
ততক্ষণে ছেলেটির পায়ের নিচে কাঁচের টুকরো রাস্তা লাল
বজ্রকন্ঠে শোনা যায় - আমি এক অকবি
আমি রক্ত ঝরিয়ে প্রতিবাদ করছি
আমাদের প্রতিবাদ শুরু হোক
আমাদের সবকিছুর অধিকার চাই।
তৎক্ষণাৎ রাষ্টীয় বাহিনীর হর্ণ
চারিদিকে অসংখ্য মানুষের ছুটোছুটি
তারই মধ্যে অকুতোভয় অতিক্রম করে
হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদী কন্ঠ
চেঁচিয়ে বলতে থাকে - আমাদের একমুঠো খাবার চাই
আমরা বাঁচাতে চাই সমান অধিকারের দাবীতে।