আমি যে ভাবে কবিতা আবৃত্তি করি …সেটাই আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরতে চাই …এই কারণে, আমার যদি কিছু ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে আমি সেগুলি ঠিক করে নিতে পারবো …তাই আজ আপনাদের সাথে আমার কিছু কথা শেয়ার করছি। আসরে এখন অনেকেই আবৃত্তি দিচ্ছেন …আশা রাখি আপনারা আমাকে সঠিক পথ দেবেন।
নিম্নে পর পর জানালাম -
(১) আমি প্রথমে কবিতাটিকে বার বার পড়ে মুখস্ত বা প্রায় মুখস্ত করি এবং তার অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝবার চেষ্টা করি।
(২) উচ্চারণের শুদ্ধতা রাখবার চেষ্টা করি।
(৩) উত্থান-পতন ও বিরতী চিহ্ন ব্যবহারের সঙ্গে তাল রেখে কণ্ঠ প্রয়োগ করি।
(৪) ছন্দ ও তাল বজায় রাখার চেষ্টা করি।
(৫) কবিতার সামগ্রিক ভাব বজায় রেখে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করি।
এছাড়া কিছু চিহ্ন ব্যবহার করি স্বরলিপি হিসাবে – সেগুলি নিম্নরূপ (প্রথমে কবিতার নিচে Under Line করে নিয়ে চিহ্ন ব্যবহার করে থাকি)।
(১) ^ = উত্থান
(২) x^ = পতন
(৩) # =  বিরতী
(৪) ## = দীর্ঘ বিরতী
(৫) ~ = দোলা
(৬) o =  ও’কার যোগে উচ্চারণ
(৭) ^^ = অতি উচ্চস্বরে
(৮) x^^ = অতি নিম্নস্বরে
(৯) …… = দীর্ঘ সময় নিয়ে
(১০) >< = স্বর পরিবর্তন বা ভাব পরিবর্তন
(১১) l=l=l = একটি বৃহৎ শব্দকে ভাগ করে বলবার জন্য
(১২) D = Direct Speech
(১৩) ID = Indirect Speech
(১৪) ? = প্রশ্নবোধক
(১৫) ! = বিশ্ময়সূচক
(১৬) lXl = কণ্ঠে কান্নার স্বর
(১৭) lSl = কণ্ঠে হাসির ঝলক
(১৮) lUl = কণ্ঠে আক্ষেপের সুর
(১৯) l@l = প্রতিবাদী কণ্ঠ
(২০) এছাড়া ... ই, উ = নিম্নস্বরে / ঈ, ঊ = উচ্চস্বরে।


অনেক সময় শুদ্ধ  উচ্চারণও আবৃত্তির মাধুর্য্য নষ্ট করে, যেমন   (:, ঁ, ড়, ঢ়  ইত্যাদি) এদিকে কিছুটা খেয়াল রাখি।


এরপর …  আবৃত্তি করি ……কিন্তু তার পরেও থেকে যায় আরোও কিছু কথা …যেটা হল …মাইক্রফোনের ব্যবহার……এই বিষয়ে আমি আসরের বিভিন্ন আবৃত্তিকারের নিকট থেকে জানতে চাই।


সকলকে আমার ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই।