মিছে হুংকার, বাজে ডঙ্কার বাদ্য তালে-
উড়ানো ফানুস, মূর্খ মানুষ তালে তালে নাচে।
উড়ছে দেখ পত-পত করি, মিছে বেসাতের পতাকা;
বাস্তবতায় দখিনা বায়ু কখনো কি বহিয়াছে?
সমস্বরে ডাকিয়া কহে ধামাধরা-মোসাহেব,-
‘আসলেই ঠিক, কাজে নাই ভুল, সে যে অতুল
সাহেবের কর্মে নাই কিছু ভুল, সে যে মহাদেব।’
আসিয়াছে জোয়ার, ভাঙিবে খোঁয়াড়, বন্দিত ভেদাভেদ।
হিম্মত কার বলিবে আর রহিয়াছে কিছু নিন্দিত খেদ।
নপুংসক আচারী গাহিয়া চলে স্বেচ্ছাচারী ভজন-গীত,
লৌকিক বাহবা কুড়ায়ে জমায় আপন সনদ, গড়ে ভীত।
বাজে শ্যামা সংগীত, বিলায় প্রসাদ হরি-হরি বলে;
দেব ভজনায় একাগ্রতা নাই, উপরি দেখায় ছলে।
সাজিয়াছ মহাপ্রভু, আসন গাড়িয়া বসিয়াছ মন্দিরে;
বাণীতে-বাণীতে ভরিয়াছে প্রাঙ্গণ, শ্লোগান উঠিয়াছে ভিড়ে।
দুই-পা নামিয়া দেখিয়াছ কি? অদূর বঞ্চিতের নিভৃত কান্না;
মোসাহেবের মিছে আশ্বাসে বহিয়াছে নদীতে দূষিত জল-
আর রঙিন কাঁচের ফাঁকে দেখিয়া ভাবো, বহিছে খুশির বন্যা।
সময়ের গতিতেই চলিবে সময়, বাঁধ দিয়ে থামে না;
তপ-মন্ত্র না পড়িলেও চলিবে সময়, সেও কি তারা জানেনা?
দিনের পর দিন চলিবে, কখনো গভীর রাত;
সময়ের ভেল্কি-বাজিতে গড়িবে নতুন, হইবেই নির্ঘাত।
মিছে দেখাও বাহাদুরি, বানাইয়াছ ভুরি-ভুরি, মহাপ্রভু তুমি নিজে;
মহাকাল হাসে, বাতাসে ভাসে; বোকামিতে কান্না পায় কি-যে।
কাঁদো-
কাঁদো, ওরে কাঁদো আরও জোরে-
হাসবে তখনি, সূর্য উঠবে যে ভোরে।