উর্বশী, মনের অথই গাঙের তুমি শ্রেয়সী;
তুমি বৈঠা, আমি মাঝি; বেয়ে চলেছি আনমনে।
নৌকা আমাদের বিশ্বাস, কিন্তু কাঁচের মতো ঠুনকো,
চলছে হেলে-দোলে মনের আবেগ ঢেলে।
রঙিন করে সাজিয়েছি, তুমি আমি মিলে;
ভাসিয়ে দিয়েছি গন্তব্যহীন পথে।
শক্ত হাতে বৈঠা ধরেছি-
ছলাত-ছলাত জল টেনে তালে-তালে।
মধুর সে সময় গুলির আমি মাঝি, তুমি বৈঠা
উভয়েই আলিঙ্গনে হয়েছি মত্ত।
তর-তর করে এগিয়ে যাচ্ছে অথই আস্হার সাগরে।
মাঝে-মাঝে অবিশ্বাসী ঝড় আছড়ে পড়ে
বিশ্বাসের নৌকাটি দোলে উঠে, কেঁপে উঠে বুক!
সামাল-সামাল মাঝি ধরো শক্ত করে বৈঠা;
কাঁচের নৌকা চিকচিক করে উঠি।
ঢেউয়ের পাহাড়ে আছড়ে পড়ে।
উর্বশী, ভয় পেয়ো না; ভেঙে পড়ো না।
তোমার সুদৃঢ় অঙ্গের আঁচড়ে আমি পোক্ত মাঝি।
ঠুনকো কাঁচের বিশ্বাসী নৌকার উভয়েই চালক-চালিকা
তোমার কলিজার টুকরা, আর আমার হৃদয়ের ধন
উভয়েই আমাদের নৌকার যাত্রী।
মনে রেখো, একটি বিশ্বাসের তৈরি নৌকার
মাঝি ও বৈঠা একে অন্যের পরিপূরক।
যে কোন একটি উপাদানের অনুপস্থিতি সাগরের
অথই তলে হারিয়ে দিতে পারে সবই।