আজীবন সুখের লাগি গাঁথলে ইটের ঘর-
দালান-কোঠা ভাইঙ্গা গেলে উপায়-রে কি তোর?


ভাবছ তুমি পাকা-ঘরে কে দিবে-রে হানা
নশ্বর এই দুনিয়া তোমার আছে কি-তা জানা?
জীবন যেমন দিছে প্রভু তেমনি আছে মরণ;
তার নীতির বাইরে নয়, কথা রাইখো স্মরণ।


নগর-বন্দর-শহর বানাও, বানাও রঙিন বাড়ি;
আরাম-আয়েস ভোগ-বিলাসে হাঁকাও দামী গাড়ি।
ভাবছ কভু শেষ বিছানায় কেমন হবে কবর?
দিন থাকতে হিসাব মিলাও লওরে বাড়ীর খবর।


ইটের ‘পর ইট দিয়া গাঁথছ দেয়াল গুলা;
রড-সিমেন্ট-পিলার দিয়া করছ বহু তলা।
নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে যতই দাওরে পাথর-
ভাইঙ্গা যাবে সাধের বাড়ী শখের রঙিন ঘর।


যার উপর গাঁথলে তোমার বাড়ী-ঘরের ভিত-
ছেলে-মেয়ে প্রিয়-জনের আইলো সুখের নিদ;
রাস্তা-ঘাটের খবর নাইরে জঞ্জালে ভরা নগর-
না-মানিয়া বিল্ডিং-কোড যখন কাঁপে থরথর।।
আজীবন সুখের লাগি গাঁথলে ইটের ঘর-
দালান-কোঠা ভাইঙ্গা গেলে উপায়-রে কি তোর?


(সুপ্রিয় কবি আল মামুনের মন্তব্যের আলোকে উদ্বুদ্ধ হয়ে কবিতাটি রচিত হয়েছে। প্রিয় কবি আল মামুনকে উৎসর্গ করলাম।)