যাসনে কেউ ভোলার কাছে
ও নয় সাদা সিধে,
হর হামেশা যাচ্ছে খেয়ে
তবুও বলে, 'ক্ষিধে'।


নিজেরটাকে যত্নে রেখে
খাচ্ছে শুধু পরেরটা,
নিচ্ছে কেড়ে পরের খাবার,
আগলে রাখে ঘরেরটা।


পেটের ক্ষিধে যায় মেটানো,
লোভের ক্ষিধে মেটেই না,
রাখছে ভরে ব্যাংক সিন্দুক,
শুধু নিজের পেটেই না!


রীতিনীতি চুলোয় দিয়ে,
লুটছে দিবস রাতি,
সম্বলহীন ভোলা মিয়া
হঠাৎ হলো হাতি।


প্রতিবেশীর ঘর বাড়ি আর
জায়গা-জমিগুলো  
দখল নিলো গায়ের জোরে
টাঙ্গিয়ে দিলো মুলো।


গতর খেঁটে এক-দু বেলা
জোটায় যারা খাবার,
তাদেরও যোগার কেড়ে নিয়ে
করে দিলো সাবাড়।


খাল বিল আর ত্যক্ত পুকুর
সবই নিলো দখলে,
ভোলা মিয়ার পেশীশক্তি
জেনে গেছে সকলে।


চাঁদাবাজি, অপহরণ,
কিম্বা মারার ভয়,
সব পথে আজ ভোলা মিয়ার
টাকার যোগার হয়।


টাকার অংশ পাচ্ছে পুলিশ,
পাচ্ছে কয়েক নেতা,
সবাই জানে ভোলার কীর্তি,
রুখবে বলো কে তা?


কেউ যদিবা বলে কিছু
তার জীবনই নিভিয়ে
ভোলা মিয়া সামনে চলে
হাড়-মাংস চিবিয়ে।


এমন দেশে অযুত ভোলা,
বাড়ছে তাদের ক্ষিধে,
যাসনে রে কেউ ভোলার কাছে
ও নয় সাদা সিধে।