সাঁঝের মায়ায় গেয়েছো যে তুমি আত্মামুক্তির গান  
দীপ-নাহি-জ্বালা গৃহেতে সন্ধ্যায় তোমারই আহ্বান।  


প্রার্থনায় বসে তুলেছো দুই হাত চেয়ে স্রষ্টার পানে  
সৃষ্টি সকলে মুগ্ধ হয়েছো, মজেছো স্রষ্টার গুণগানে।  


মনের বারতা দেখেছিলে তুমি জীবন জয়ের গল্পে
মনের পূর্ণতা না হলে যেন জীবন ঝরে যায় অল্পে।


স্বপ্ন দেখেছো যে উদাত্ত পৃথিবীর মুক্ত মানব নিয়ে  
আজ তা আমরা দেখছি দুচোখে নতুন স্বপন দিয়ে।


দিওয়ানে যে ভাব রেখে গেছো তুমি জনীন বিশ্বময়  
ডুবন্ত মানবতার জাগরণে কভু তোমার তুলনা হয়?  


অভিযাত্রিকগণে দিয়েছো প্রেরণা, না পেতে কভু ভয়,    
মহাকাল সদা লিখে যায় দুঃসাহসী জয়ীদের পরিচয়।  


মৃত্তিকার গানে এনেছো যে প্রাণ বিবর্ণ মৃত্তিকা মাঝে
কুহেলিকা মুছে ঝলমলে আলো ঝরিয়েছে রবিটা যে।


পিছিয়ে যে গেছে জাগিয়েছো তারে পরিয়ে রাজটীকা,
তাইতো তোমারে স্মরে এ জাতি, হে জননী সাহসীকা।  


আজ যখন দেখি নারী পুরুষেরা সম সম্মুখে চলা ক্ষণে,
তখন তোমারে ভুলবো কীভাবে? তোমাকেই পড়ে মনে।  


*কবিতাটি শ্রদ্ধেয় অমর কবি বেগম সুফিয়া কামালের জন্মদিনে তাঁকেই উত্সর্গ করে লিখলাম।