বুঝবে না তো তুমি কেন ঝরে চোখে বিন্দু বিন্দু জল,
লুকিয়ে রাখা ব্যথা-কষ্ট এ হৃদয়ে গড়ে সাগর অতল।
যে অম্বরখানি দিয়েছিলে তুমি, হারিয়েছে তার নীল,
ফ্যাঁকাসে আমি পড়ে থাকি একা, আকাশে উড়ে চিল।
এসেছিলে কাছে বসেছিলে পাশে জ্বালায়ে স্বপ্ন শিখা,  
তবে কেন ফের অদৃশ্য হলে? ভাবিনি তো মরীচিকা।
কী দোষটা করেছিলাম আমি বলে গেলে না তো তুমি,
উদ্যান ভেবে ঘিরে ছিলাম যাকে, সে কি ছিল মরুভূমি?
রৌদ্র তাপে পুড়ে অঙ্গার, সারা জীবন দেবে কি জ্বালা?  
দেহটাকে পুড়ে ছাই করে দিলে, মন করে দিলে কালা।
যে হাত ধরে ফাঁকা বুক ভরে বেঁধেছিলাম শত আশা,
সে আশার গুঁড়ে বালি ঢেলে দিলে, মুখেও নেই ভাষা।
প্রাণের চেয়ে প্রিয় মানুষটাই যদি বড় ছলনাময়ী হয়,  
ভরসা কাকে করা যায় বলো? মানুষ যে ভরসার নয়।  
তিলে তিলে গড়া কষ্টগুলো এ বুকে পাহাড়সম হলো
পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে কি বাঁচা যায় কভু বলো?
যাবো মরে আমি কষ্ট অনলে পুড়ে, বলে যাই এই কথা,
জীবনে যারে বাসবে ভালো, কভু দিও না তাকে ব্যথা।