ক্ষীণ মোমের প্রদীপ জ্বলে, প্রায় অন্ধকার ঘর,
জানালার পর্দা কাঁপিয়ে বাইরে বহে বৈশাখী ঝড়,
এক ফর্দ কাগজে লিখি কী যেনো এক কবিতা!
সামনে বসে আছে, ভাবনার সেই রুপময়ী ববিতা!
নিঃসীম অন্ধকারে লাগে শীতল বাতাসের সুড়সুড়ি,
যা মনে আসে লিখি, মাথায় ঘুরে ভাবনার ফুলঝুরি।
নিন্দ্রাহীন দুচোখে ভাসে তার সেই লজ্জাময় মুখ,
তাকে দেখলেই বুঝি মিলে যায় স্বর্গস্পর্শী সুখ,
সে আমার পংতিতে দোলা, শব্দ হয়ে বাজে কানে,
সে আমার কাব্যপ্রাণ, প্রতি ধ্বনিতে সুর আনে,
অচল বোধের শিয়রে ভাবি কোনো আঙ্গুলের ভাঁজ,
আমার হৃদয়ে দেয় দোলা এক সুধাময়ীর কারুকাজ,
কাছে না থেকেও তবে আমাতেই তোমার বসবাস,
কখনও সুখী হয়ে হাসি, কখনও হতাশার দীর্ঘশ্বাস,
কলমের আঁচরে খুঁজি উম্মাদনার গন্ধ তোমার এলোচুলে,
কবিতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমাকে খুঁজি, যাইনি তো ভুলে।
তোমাতেই আমার বিশ্বাসী নহর, দাও অদৃশ্য হাতছানি,
রূপের সাগরে ফের কাটবো সাঁতার- আমি তাও জানি।
আমার লেখার টেবিলে সাজিয়ে রেখেছি তোমার ছবি,
ভাবনায় তুমি আছো বলেই আমি আজ প্রেমময় কবি।