'দেখো ভাই, আরশোলার পাখি হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে'
সময় প্রবাহে সেই মনোভাব পুরুষের মধ্যে কি রয়েছে?  
'নারিকেলের মালায় হয় না বড় কাজ, নারীর বিদ্যাও বড় নয়'
পুরুষের সেই পুরোনো ধারণা একালে এসে মিথ্যেই হয়।
কোন পুরুষে আর পেরেছে রুখতে নারীর চলার পথ?  
সাহসী উদ্যমী নারী সমাজ নিজেই গড়েছে জয়ের রথ।
পরিবার থেকে সমাজ, রাষ্ট্র সবখানে নারী করছে জয়,
নারী ছাড়া তাই কোনো ক্ষেত্রেই উন্নয়ন যে সম্ভব নয়।
মাতা হয়ে নারী আদর মমতায় সন্তানেরে দেয় সর্বসুখ,
ভাইয়ের জয়ে নারী ভগ্নি প্রেরণা যোগাতে সদা উন্মুখ।
স্ত্রী নারী পাশে পাশে থেকে স্বামীর জয়ে গাইছে গান,
মেয়ের সাফল্যে গর্বে বেড়েছে পিতামাতার মান-সম্মান।
সংগ্রাম বা প্রতিবাদ বলো, নারীও দিয়েছে স্লোগান সব,
জীর্ণ শীর্ণ সমাজ জাগাতে নারীও করেছে কতো কলরব!
নারী সমাজ দেখিয়েছে ঠিকই দেশের প্রতি নাড়ির টান,
দেশের তরে ধরেছে অস্ত্র, দিয়েছে সম্ভ্রম, দিয়েছে প্রাণ।
আবর্জনার স্তুপে বেঁধে আর নেই নারী ঘরের অন্ধকারে,
ঘর থেকে পা বাইরে ফেলে নারী জয় করে এভারেস্টারে।
ভোগের বস্তু, রক্ষিতা বলে নারীকে দমানোর সুযোগ নাই,
পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে নারী চলছে এগিয়ে যে সদাই।
অকুতোভয় নারী জাতির আজ সদর্পে চলে সম্মুখ যাত্রা,
বদলে গেছে সমাজ চিত্র, বিশ্ব কর্ম পেয়েছে নতুন মাত্রা।
মাতা, ভগ্নি, স্ত্রী, কন্যা- নারীরূপেও তুমি যে পুরুষসম,
আপন কর্মে জাগিয়েছো আশা, জাগিয়েছো সবার অন্তর মম।
জীবন সংগ্রামে লড়ে গিয়ে সমাজ সংসারে সদা করেছো দান,
তোমার জয়ে পুরুষও গর্বিত আজ, গাইছে তোমার জয়গান।