ঋণগ্রস্ত পৃথিবীতে করেছি ক্ষুধা ঋণ,
তাই বুঝি তার মাত্রা বাড়ে দিন দিন।
আজ কয়দিন খাওনি কিছু হায় মোর প্রিয়া,
ক্ষুধা-তৃষ্ণা মিটাও তুমি আঁখি জল দিয়া।
শুকাল কণ্ঠনালী,আঁতুড় ঘরের শিশু,
মায়ের দুগ্ধ শূন্যতা,নাই আর কিছু।
কেবলি শুনি তার বুক ফাটা চিৎকার,
ঋণদাতা দিয়ে যায়,অভিশাপ ধিক্কার।
পারিনি দিতে আজো দুটি কানের দুল,
সেই কবে ক্ষয়ে গেছে সাধের নাক ফুল।
বিঁধেছে কাঁটা সেদিন, তোমার খালি পায়,
সেই রক্তে পরাণ ভরি,রাঙ্গালে আলতায়।
মোরা চির সংযমী, সিয়ামের দেশে,
জাগেনা রতি-কামনা নিষ্ঠুর আবেশে।
জীর্ণকায় এই দেহ নাহি কর্মক্ষম,
ক্ষণে আসে,ক্ষণে যায় কাঙ্খিত মৃত্যুর যম।
ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাটেনা কাল রাত,
নিমিষেই ভেঙ্গে পরে, প্রার্থনার হাত।
আগ্রাসী ক্ষুধা বুকে বিধ্বস্ত বিস্ফোরণ,
চির মজলুম সহেছি তার যত নিপীড়ন।
করিতে পারিনা কভু তার বাদ প্রতিবাদ,
কেবলি সঞ্চয় মোর আত্মহুতি-আর্তনাদ।    
দারিদ্র্যের কষাঘাতে অতিথিতির মায়া,
দেখিলেই চমকে উঠি যেন পাপ ছায়া।
লজ্জায় ম্লান হয়ে করি পলায়ন,
সহসা ছিন্ন হয় আত্মীয়র বাঁধন।
সরে যায় বন্ধু-বান্ধব,দূরে চলে ভাই,
করুণ কান্নায় বেজে উঠে,নাই কিছু নাই।


দারিদ্রতা বুঝি,প্রভুর প্রিয় অতি,  
সানন্দে সঁপে দেয়,প্রিয়তম প্রতি।
ধৈর্য চেয়ে বড় দান,নাহি কিছু আর,
তাই প্রভু খুলে দিলো,মুক্তির দ্বার ।