নারী মুক্তির অন্তরালে,মুখোশ দারী নর,
মিথ্যে আশার-স্বপ্ন মাঝে হা-হুতাশের ঝড়।
সম-অধিকার,সম-মূল্যায়ন,শত-সমতার লোভ,
সরল মনে মুক্তির নেশা,স্বাধীনতার টোপ।
                                 পূঁজি বাদী পুরুষ দল-
তোমার রূপ-যৌবন পূঁজি করেই,বসালো পূঁজির কল।
স্বাধীনতা নামে ঘর থেকে তোমায়,বাহিরে আনিল টানি,
ব্যথা যত তুমি সয়েছ একা,মুছেনি কেউ চোখের পানি।
                          নারী বাদী যত নর-
ভোগ বাদীরা-ভোগের নেশায়,চরম স্বার্থপর।
নারী তুমি জননী জাতি,স্বর্গ তোমার চরণ,
কেন পর পুরুষের পূজা লভিতে,কর উম্মক্ত বিচরণ?
নারী বাদীরা-নারী খাদক,সাজে ভগবান,
দিনের বেলায় সাধু অতি,নিশিতে শয়তান।
রূপ-যৌবন শোষণ করে,চুষে শেষ রক্ত কণা,
কামনার কালিতে কলঙ্ক মিশিয়ে,দেয় মিথ্যে অর্চনা।
                      গায় নারী মুক্তির গান-
মুক্তির নামে,উম্মক্ত করে,নারীর দেহ-মান।
স্বাধীনতা নামে প্রবঞ্চনা,প্রতিটি পদে-পদে,
মুক্তি বাদীর মুক্তি মিলে,নারীর দেহ মদে।
                               হায়রে বোকা নারী-
মডেল খেতাবে,মধু লুটে নেয়,লম্পট-যৌনাচারি।
পণ্যর মডেলে,হচ্ছ পণ্য,গায়ে কলঙ্কের দাগ,
যারা করিল কলঙ্কিনি তোমায়, নেয় কি তারা ভাগ?
                             হায় অভাগী নারী-
যুগ-যুগান্তর নিপীড়ন করিল,লুব্দ-যৌন-পূজারী।
পূজা মণ্ডপে সাঁজায় তোমায়,শিকারি রূপ-দেহ,
রূপ ফুরালে,চুপ থেকে রয়,খবর নেয়না কেহ।
                                      পুরুষ ক্ষুধার যম-
ভোগে-ভোগ পানে,ফুরালে ক্ষুধা,কাড়িবে তোমার দম।
কত দরদ, কত প্রশংসা-জপে, মিথ্যে রূপের বাহার,
এ নয় তার ভালবাসা,এ যে সূক্ষ্ম-অত্যাচার।
দিবা-রাত্রি তোমার নেশায় মাতে,মগজে হানে শূল,
জেগে উঠো নারী,মুছো আঁখি বারি,ভাঙ্গ তোমার ভুল।
                                 অন্তর আঁখি খোল,
                                  এবার প্রশ্ন তোল-
কেন প্রতিনিয়তই নারীরা আজ, হচ্ছে নির্যাতিতা?
কেন সম্পদের প্রাপ্য ভাগ, দেয়না তোমার পিতা?
কেন সভ্য সমাজে মুছেনি আজো,যৌতূক প্রথার দাবী?
কেন ক্ষমতার তালা তোমার হাতে,তাঁদের হাতে চাবি?
কেন বীরের নামটি শ্রদ্ধা ভরে, বীরঙ্গনারে ঘৃণা?
কেন পতিতা শব্দের বিপরীতে,পতিত শব্দ হয়না?
                                 উত্তর পাবেনা তুমি!
কারণ তুমি,খেলনা তাদের,লালসার উর্বর ভূমি।
দেখনা তুমি,কত যতনে প্রতিমা বানায়ে,পূজা-অর্চনা-মাগে,
পূজা শেষে তারে,বিসর্জন করিতে,কভু কি,পূজারীর ব্যথা জাগে।
                            তুমি কত অসহায়-
যুগ-যুগ ধরে বহিয়া চলিছ,মিথ্যে দেনার দায়।
আর কত কাল শোধ করিবে,মিথ্যে ঋণ শোধ,
ঐক্য রথে,সত্য পথে,এবার লও প্রতিশোধ।


বল,আমি চাইনা হতে,প্রতিমা-দেবী,চাইনা এজীবন,
যার,রাতের মোহ কটিয়া গেলে,প্রাতে বিসর্জন।
ঊষার আলোয় বাঁচতে চাই,হাসুক দিবাকর,
অমাবস্যা চাইনা আমি,মৌ-লোভী মধুকর।