দেখিনি রোম-পারস্য,ব্যবিলন,ভূ-স্বর্গ-কাশ্মীর,
দেখিনি আগ্রা,নায়েগ্রা,পিরামিড,চীনের-প্রাচীর।
দেখিনি হিমালয়,কুতুবদিয়া,মরুর-সাহারা,
টেমস নদীর তলবন্ত,উপরের স্রোত-ধারা।  
দেখেনি তবু,দেখিবার সাধ,হৃদয়ে নাহি জাগে,
যখনি দেখি,বাংলা মায়ের মুখ,দৃষ্টি-অনুরাগে।
ভাইয়ে-ভাই যত,মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান,
কাঁধে-কাঁধ রেখে,একি সুরে গাহি,সাম্যের গান।
ঘুম ভাঙ্গে ঐ আযানের ধ্বনি,ফুঁকারে মুয়াজ্জিন,
পায়ে-পা লেগে,নামাজে দাঁড়াই সব মুসলেমীন।
মন্দির-ক্যাং-গির্জা জুড়ে,সদা হয় পূজা-উপাসনা,  
বাংলার তরে বাঙ্গালী মোরা,ত্যাজিয়াছি হিংসা-ঘৃণা।
এই ভাষা-মাটি রক্তে কেনা,লাখো শহীদের দান,
এই মাটিতে মিশে আছে,শ্বাস-নিঃশ্বাস,হিয়া-প্রাণ।
বাবার শাসন,মায়ের হাসি,ভাই-বোনের স্নেহ,
পেয়েছে কি?ভুবন খুঁজে,এমনি করে আর কেহ।
এখানে দেখি,কৃষাণ-কৃষাণী,শস্য-শ্যামল হাসি,
ব্যথা যত ভুলে যাই আমি,সবুজের ছায়ায় বসি।
সবুজে ঘেরা বাংলা আমার,স্বর্গের চেয়েও দামি,
ভাগ্য আমার,এই মাটিতেই,জন্মিয়াছি যে আমি।।