(‘শুরু করিলাম,লয়ে নাম আল্লাহ্‌র  
যিনি পরম দয়াময়,যার করুণা অপার’)    



কেন দোয়া কবুলের এত হাহাকার এতো তড়িগড়ি?
কেন বিষণ্ণতা দেখাও এতো প্রভুর সিজদায় পড়ি?
আহাজারিতে মেতে উঠি,কেন হয়না পূর্ণ চাওয়া?
নিরাশ হয়ে প্রভু বিমুখ,বলি হবেনা আর পাওয়া।
                                     বলরে মন বল-
এই সুস্থ-সুন্দর দেহের জন্য,ফেলছিস কত আঁখি জল?
কত করেছিস আরাধনা,কত রাকাত নামাজের সিজদায় পড়ি?
পেয়েছিস এই আলো বাতাস,শ্রবণ-দৃষ্টি,আরও যত ভুড়ি-ভুড়ি।
তোর শ্বাস-নিঃশ্বাস,রক্ত সঞ্চালন,সকল অঙ্গের লাগি,
বিনিময়ে দিলি কত রোজা,কত ইবাদাত,কতটি রাত্রি জাগি?
এত দিয়েছেন প্রভু,সন্তুষ্ট নয় তবু,করেছি যে কত নেয়ামত ভোগ,
তবু করিস খাই খাই,তোর স্বভাব চাই চাই,এটাই আসল রোগ।  
                                           মন দেখত একটু ভেবে-
প্রভু,নিত্য পাপের হিসাব চাইলে,তখন তোর কি হবে?
কত পাপ,কত অপরাধ,কত শত ভুলের মাঝে?
মগ্ন সদাই,দাপটে বেড়াই,সকল কর্ম কাজে।
কত অন্যায়,কত অবিচার,কত জুলুম-গ্রাস?
ভাবতো বিভোর,কি হইত মোর,যদি প্রভু করে প্রকাশ।
শোন লোভী মন,ধর ধৈর্য ধারণ,হসনে  ধৈর্য হারা,
হাঁসি কান্না মাঝে,ভাগ্যের খেলা সাজে,সবই প্রভুর ইশারা।


দুনিয়ার যত সম্পদে ডুবে,বলিস,হয়েছে আর কত?
আখেরাতের কাজে,বিবেগে বাঁধা বাজে,বলিস লাগে নাকি এতো!