এক মায়ের চার ছেলে ভিন্ন মত-মন,
চার বউ চার মায়ের শাশুড়ি একজন।
এক মেজাজে শাশুড়ি চালিকা সকলের,
সেখানেই থেকে যায় অনেক হেরফের।
চার সমাজ হতে আসা চার বধূর মন,
ভিন্ন রুচির হতেই পারে কোন একজন।
বাকী তিনের পক্ষে তাহা মানাই কঠিন,
অনায়াসে কষ্ট বুকে,হাসিমুখ হয় মলিন।
কেউ ভাতে তুষ্ট, কেউ আবার চায় রুটি,
কারো খিচুরি পছন্দ,কারো চা-পাউরুটি।
পছন্দের তালিকা নিয়ে চলে সদা অসঙ্গতি,
এ কারণে অহেতুক, বাড়তি কাজের গতি।
কেউ ঘুম থেকে উঠেই চায় তরতাজা নাস্তা,
কেউবা নয়টার আগে, চায়না কোন ব্যবস্থা।
কারো কাজ চটপট,কেউ আবার একটু ধীর,
কেউ রোগা,কেউ সবল,কেউ অল্পে অস্থির।
স্বামীর সোহাগে করে কেউ, রাত জেগে সাঁজ,
তন্দ্রা নিয়ে ঘোচাতে হয়,কাল সংসারের কাজ।
দাম্পত্যর সুখ বিসর্জনে, হয় রতি বিমুখ,
পাহাড় চাপা কষ্ট বুকে,লজ্জায় ফোটেনা মুখ।
ছিন্ন ভিন্ন আবেগ আপ্লুত,ঝরে আঁখি জল,
মনের অজান্তেই মনে, ধরে বিশাল ফাটল।  
কেউ বুঝেনা কারো মনের দুঃখ-অনুতাপ,
দুঃখ-কষ্ট নিয়েই চলে কাজের সমান চাপ।
এই নিয়ে দন্দ বাধে,অশান্তির এক সংসার,
কেউ প্রকাশ করে,কেউ জ্বলে পুড়ে ছারখার।
কোন ভাইয়ের আয় বেশি, কারো আয় কম,
এই নিয়ে হিংসা আর রেষারেষি চলে হরদম।
সমতা রক্ষা করা বড় কঠিন,পরাধীন-দায়ভার,
অন্তরদন্দে,মাত্রাহীন ছন্দে, চলে যৌথ পরিবার।
তিক্ত-রিক্ত বিরক্তির মাঝে,ভাঙ্গে জীবন সংসার,
কলঙ্ক বদনাম নিয়ে শেষে,যৌথ হয় একাকার।