বৈধ বিয়েতে অবৈধ যত কাজ,
ইসলাম বাদ দিয়ে রক্ষা করি সমাজ।
পাত্রী দেখে পাত্র-সাথে আরো কত জন,
বাবা-চাচা,মামা-খালু,ভাই-বন্ধু-স্বজন।
পছন্দের পালা শেষে-ধার্য দিন তারিখ,
শুভ-অশুভ দেখে করে নেয় ঠিক।
কথা চলে আসা যাওয়া খাদ্য তলিকাখান
বর যাত্রায় পাঁচশত, নয় বাঁচবে না মান।
তিনতলা গেট হবে-কনের বাড়ী,
চাচী-মামী সকলেরে দিতে হবে শাড়ী।
কর্জ করে কনে পক্ষ,দৌড়ায় সম্মানের পিছু,  
নজরানা আসবাবপত্র, নয়তো নগদ কিছু-
আকাশ চুম্বী দেন মোহর, বাকীর খাতায়,
বরকে কে কি সালামি দিয়ে করিবে বিদায়।
শুরু হল গায়ে হলুদ, অশ্লীল উল্লাস,
রাখীর আশীর্বাদে কলঙ্কের ইতিহাস।
নাচ-গানে মুখরিত,আছে লোক যত,
ধর্মের ঝলাঞ্জলি,শয়তানের কাছে নত।
নাপিত বাড়ীতে এনে চুল-দাড়ি কর্তন,
ভাবী-চাচী সবাই মিলে গোসলের আয়োজন।  
বর যাত্রা বের হল ভোজন সভায়,
ক্যামেরা ম্যান স্মৃতি রাখে তার ক্যামেরায়।
বরকে কনের বাড়ীতে স্বাগতম জানায়,
মাল্য বরণের নামে, লুপে নজরানায়।
খাও-ফালাও ফুর্তি করো নাহি বাদ কিছু,
সামান্য ব্যতিক্রমে নীচু গলা উঁচু।  
বরের বাড়ীতে পাঠাও-বড় মাছ,খাসি,
বউভাতে খাবে বেয়াই মিষ্টি হাঁসি-হাঁসি।
খাওয়া দাওয়া শেষ এবার ইজাব-কবুল,
উকিল বাবার হাতে এজিনের পান-ফুল।
দাও মা বলে দাও যত সহসা,
চিন্তা করোনা,আছি আমি,রাখো ভরসা।
কাজীর কাজীগিরি লাখে সাড়ে-বারশত,
এই ভাবে পদে পদে ক্ষতি আরও কত।
বিদায় বেলায় কনের আঁচলে ধান-দূর্বাঘাস,
আঁচলে বাঁধা লক্ষ্মী, এইতো মনের উচ্ছাস।
হাত ধোয়া পা ধোয়া ফিতা কাটাকাটি,
বউকে কোলে নাও,যাবে নাকি হাঁটি?  
বধূকে নিয়ে যায় তার স্বামীর বাড়ী,
বধূবরণে সেথায় কত সংসকৃতির মহামারি।
অবশেষে বাসর ঘরে, বাসর প্রলাপ,
স্বামী চায় স্ত্রীর নিকট দেন মোহর মাপ।
হতাশাগ্রস্থ স্ত্রী, হয় নিরুপায়,
স্ত্রী বলে দেন-মোহরে কি আসে-যায়।
তুমি আমার জান-মান, তুমি জীবন পতি,
তোমার বুকেই আমার আমরণ বসতি।
জিম্মি করে স্বামী হয়,ক্ষণিক দায় হীন,
যদি কভু তালাক হয়, তবে শোধে ঋণ।
আড়াইয়া-ফিরানি, খায় মানের খানা,
দুধ-কলা পিঠার হাঁড়ি উসুল ষোলআনা।
অঞ্চল ভেদে আছে,আরো কত রীতি,
সভ্যতার মোড়কে,যত শয়তানের নীতি।।