‘মৃত্যু! হে বন্ধু মোর, এসো একদিন ভালোবেসে;
মোর জীবন আঙ্গিনা মাঝে।
যে দিন এসেছিলেম এইধরাতলে নামি,
শষ্টদিনে তুমি এসেছিলে সাঁঝে,
‘ভাগ্যবিধাতা’ নামধরি, লিখিতে ভাগ্যের
লিখন, সারাটা জীবন লাগি,
লুকাইয়া ‘মৃত্যু’র বেশ, সুধাইলা মিষ্টকথা
কতকিছু ;সারারাত জাগি।
বলেছিলে বহুকথা সেদিন, গোপনে
মোর কানে কানে অতি নিম্নস্বরে’,
‘‘আবার হইবে দেখা জীবনের শেষলগ্নে
হয়তো কোন মাঠে,বাটে, বা ঘরে।
আজ আমি যাবো অন্য কারো কাছে,
যেখানে অন্য কেহ আছে অপেক্ষায়
আমারি লাগি,তাঁর কাছেও আছে প্রতিঞ্জা,
সেও বসে আছে আজ, মোর প্রতিক্ষায়।
তুমি কিছুদিন খেলেনাও হেথা,পিতা,মাতা,
                             প্রীয় আথবা প্রেয়সীর কণ্ঠলগ্ন হয়ে,
বন্ধু,সমাজ নিয়েথেকো, ভুলিয়া আমায়,
আজ থাকো, মাতৃ বক্ষ-বদ্ধ হয়ে।
গোপনে  যাবোচলি,যেমন এসেছিলেম,
শষ্টদিন শেষে তোমার জীবন লিপি লাগি।
এই ধরণীর সবাই উঠিবে যে কাঁদি,
দেখিয়া আমায়,আর হবে যে বিবাগী।
সত্য বটে কিন্তু মানিতে চাহে না কেহ,
                       ‘মৃত্যু’কে দেখিলে তাই ম্লান হয় হাঁসি।
গীতায় কৃষ্ণের বাণী, শন্ত গনের শেষ কথা,
সকলি সবকিছু হয়েগেছে  বাসী।
  আসে কালবৈশাখি চৈত্রের দাবাদহের মাঝে,
মুছিতে নিদাঘ জ্বালা করি আস্ফালন,
ধ্বংস করিতেচায় ধরণীর জ্বরা, জীর্ণ সবকিছু,
গড়িতেচায় সবুজ ; মুছিতেচায় নিদাঘ জ্বলন।
বরষণ শেষে ফুলে,ফলে ধরণী হয় যে
সুশোভিত ,জীবন্ত,শ্যামলিমাময়,
কালবৈশাখীর দানে, চির শ্যামল,চির নূতন
ধরা ; তাইসেই ভয়ঙ্করের গাহি জয়।
আমি আসি তোমাদেরি লাগি, নূতনঘরে রাখিতে
তোমাকে, চির নূতন ভাবিবে সবাই,
শুধু একজন জানিবে সত্য,নূতন আধার মাঝে,
তুমি তো পূর্ব্বজন, রয়েছো তাহাই।
কর্মের দোষে-গুনে তোমাকে রাখিবেন তিনি
বুঝিয়া, তোমারি যোগ্য কোন ঘরে,
তিনি ঈশ্বর রুপে আছেন তব কাছে, সদা জাগ্রত ;
   আশিস করিছেন তিনি সবাকার ত্বরে।
শবাধার বাহি শকট আমি,পাইলে নির্দেশ,
লয়েযাবো প্রাণহীন জীবদেহ গুলি,
কালবৈশাখীর মত, জরাগ্রস্ত জীবের দেহ হইবে
মুক্ত;জাতি বিচার হবে জলাঞ্জলি ।
আমা হতে ভয়কভু নাহি, ভয় শুধু তব-কর্মের;
তাই শুভচিন্তা হোক, কর্ম আরম্ভের,
আমাহতে মিথ্যা ভয় হোক তিরোহিত,
ভয়ে-থেকো, সকল মিথ্যা অহংকারের” ।
‘‘আশিস জানাই বন্ধু, তাঁর নির্দেশ মত আসিও
সেদিন, বাজায়ে শঙ্খের শুভধ্বনি,
কথাদিনু আনান্দাশ্রু বহিবে মোর আাঁখিহতে,
কভু তবপ্রতি উঠিবোনা প্রমাদগনি।
তুমিই শুনাইলে, তোমাকে জয় করিবার
মহামন্ত্র, তাই বলি বন্ধু এসো আর বার,
প্রীত আমি,মুগ্ধ আমি, বুঝিয়াছি আমি,
কিছুনাই এইধরাধাম মাঝে,নাই কিছু হারাবার।


লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-০৭-০২-২০১৭