মুঠোফোনের কাব্য শুনে
বিঠোফেন বললেন :
'ভালো হচ্ছে, এভাবেই
প্রাচীন ঐতিহ্য ফের
লাভ করে নব-প্রাণ।
লিখে যান, আমি তো
এভাবেই তৈরি করেছি
আমার সিম্ফনি।'


গুরুর উসকানি পেয়ে
কবির অন্তরখানি
বাতাসের বক্ষ ভেদ করে
ছুটিল উল্কার বেগে
ঈথারে-বিথারে।


মুঠোফোন ভাবে, হায়,
পড়েছি কবির হাতে।
বধিবে সে দিনে-রাতে,
মানিবে না কারও বাধা।
এই পারে যদি কবি,
তবে ওই পারে রাধা।
মাঝখানে আমি_
এ-যুগের মেঘদূত।


যতক্ষণ জেগে থাকে_
মুঠোফোন ধরে রাখে
হাতের মুঠোয়,
              _যেন প্রাণ।
স্বচ্ছ-স্ক্রীনের পাতায়
বিদ্যুত-রেখা টেনে
     কী যেন সে লেখে।
দিনরাত পাগলের প্রায়
ইজিকার্ড ভরে আর
মুহূর্তে ফুরায়।


মুঠোফোন ভাবে, হায়,
আমি যদি জন্ম নিতাম
কালিদাসের কালে,
নিশ্চিত পড়তাম ধরা
বিরহী যক্ষের জালে।
খন্ডানো যায় না দুঃখ,
থাকিলে কপালে।


(কাব্যগ্রন্থঃ মুঠোফোনের কাব্য, ২০০৩)