জীবন বসন্ত
            নীড় বিন্দু বর্মন


কে তুমি রঙ্গিনী?
মধুময় লগ্নে ছড়াতাছ
রঙের মেলা, পুষ্পে পুষ্পে
সাজায়ে দিলে জীবনের বেলা ।
             ঝড়ে যাওয়া বৃক্ষে দিলে
             আবেগের দোলা,
             শত শত রঙ দিলে ভূবনে
             শেষ হলো রঙের খেলা ।


আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ে
মেঘ ঘেঁষে আহারে,
অফুরন্ত প্রেম জাগে
বসন্ত এল বুঝি বাহারে।
        গোধূলিতে মেঘের ধূলি
         বসন্তের মেলায়,
         বাতাসে ছিন্ন পাপড়ি উড়ে যায়
         মলিন হয় কুসুম নয়নে।


ঝড়ে যাওয়া বৃক্ষে
বসন্তের আনাগোনা
নিঃস্তব্দ হয় পৃথিবী
প্রেমিকের বঞ্চনা।
       স্বর্ণশিমূল ভরা পথে
        নাহি তার পদ রচনা
        রক্তকাঞ্চন অভিমান করে
        শুকনো পাঁপড়ির  ফণা।


সুদূর দূরে অতীত পাড়ি
মহুয়ার নেশা,
কুসুম চোঁখে শিশিড়
মণিমালা বসন্তে হাওয়া।
       ফিরবে না আর সেই-
       বসন্ত-শৈশবের  বেলা,
       জীবন বসন্ত পাড়ি দিয়েছে
       অমরাবতী বসন্তের মেলা।