এই শহরটা আমাকে বড্ড কাঁদায়,
আমি কি করতে পারি তুইই বল?
ঘুণে ধরা স্মৃতি গুলো জেগে উঠে বারবার
খেলা করে যায় চোখের সামনে।
জানিস, আমার খুব কষ্ট হয় তখন
চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু পারি না,
চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তাই।
একসাথে বৃষ্টিতে ভেজার সেই জায়গাটাই
আজ আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না।
তুই বল এটা কি কখনো সম্ভব?
আমি তো তোর মতো এত নিষ্ঠুর না।
কেমনে এই শহরে থাকবো আমি।
যেদিকে তাকায় তোর মায়াভরা মুখশ্রী ভেসে উঠে।
হাত বাড়িয়ে বারবার ডাকে আমায়
নিয়ে যায় চিরচেনা এক জায়গায়,
রাস্তার ধারের সেই বেঞ্চটার উপর,
যেটাই আমরা প্রতিদিন বিকেলে বসতাম।
এখন আর বাদাম খাওয়ার বায়না করে না কেউ,
বড্ড তোর অভাব রে আমার।
কেউ আর বলে না তোমার চুলগুলো এমন কেন?
কতদিন থেকে আঁচড়াও না?
কেউ আর আলতো করে চুলে হাত বুলায় না,
কেউ না, কেউ না।
শহরের প্রতিটি গলিতে তোকে খুঁজে বেড়ায় আমি।
শুকতারা মায়াবী চাহনিতে তাকিয়ে আমাকে বলে,
তোর শহরে সে আর কখনো ফিরে আসবে না,
কখনোই আসবে না।
সে এখন অন্য কারো শহরে,
অন্য কারো বাগিচায়,
প্রেমের পদ্মফুল ফুটিয়ে বেড়ায়,
অন্যকে সুখী রাখার চেষ্টা করে যায়।
আমি শুকতারার কথা বিশ্বাস করি না,
একদম বিশ্বাস করি না।
আমার চাওয়াহীন ভালোবাসা শুধু তোকে ঘিরে।
আজো অপেক্ষার প্রহর গুনি তুই ফিরবি বলে।
এই শহরটা আমাকে বড্ড কাঁদায়,
সত্যি বলছি রে বড্ড বেশি কাঁদায়।
অজস্র বেদনা মিশ্রিত থাকে সে কান্নায়।