মা, কেমন আছো তুমি?
ঐটুকুন একটা দরজা জানালা বিহীন
অন্ধকার ছোট্ট মাটির ঘরে?
কৈশোরে পা দিতে না দিতেই
তুমি কেমন ভাবে চলে গেলে বলতো!
কিছু বুঝে উঠার আগেই।
ভাবতাম, মা রা কি কখনো
যেতে পারে এভাবেই?
আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার
তারার মাঝে তোমায় খুঁজতাম।
কোনটা আমার মা?
খুঁজতে খুঁজতে দিন, মাস,
বছরের পর বছর গড়িয়ে, আজ
তেত্রিশটি বছর কাটিয়ে দিয়েছি
তোমায় ছাড়া!
মা,খুব মনে পড়ে তোমাকে,
তোমার মৃদু শাসন, আলতো আদর,
তোমার চারপাশে গোল করে বসে
গল্প করতে বসতাম ভাইবোনেরা মিলে।
কতো না হাসি আনন্দে মেতে উঠতাম সকলে!
জানো মা, এক একটা সময় মনে হতো
পাশের ঘরেই তুমি আছো। এই বুঝি
ডাক দিয়ে বলবে, পড়তে বসো!
তোমার মৃদু স্বরে ডাক আর
শুনতে পাইনি কখনো।
আমাদের ও মন ভরে মা বলে ডাকা
হয়নি কোনোদিনও।
মা,এখনো মনে পড়ে, সেই মধুর স্মৃতিময়
শৈশবের দিনগুলোর কথা।
তোমার সাথে কাটানো সময়গুলো যেনো
পদ্মপাতার মতো জলে ভাসা,
বড়ো যত্নে হৃদয়ে গাঁথা।
মা, আজও মনের ক্যানভাসে ভাসে
তোমার শান্ত, স্নিগ্ধ, ঠোঁটের কোণে
মিষ্টি হাসি মুখখানি ।
ভাবতে অবাক লাগে, তুমি কি করে পারতে?
হাজারো কষ্ট বেদনার মাঝে ও ঐ ঠোঁটের কোণে এক টুকরো হাসি ঝুলিয়ে রাখতে?
মা, জানো খুব ইচ্ছে করে,
কোন আনন্দের সময়গুলোতে সবার আগে
দৌড়ে গিয়ে তোমাকে জানাই।
খুব যখন কষ্ট অনুভব করি,
ইচ্ছে করে তোমার কোলে মাথা রেখে
সবকিছু শেয়ার করি।
কষ্টগুলো নিমিষেই দূর হতো,
তোমার হাতের আলতো পরশ পেলেই।
মা খুব মনে পড়ে তোমাকে।